দর্শনা-গেদে স্থলবন্দরের উন্নয়নে বড় বিনিয়োগ করবে ভারত

পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৭:১৪ পিএম, ২৫ এপ্রিল ২০২৩
ছবি: সংগৃহীত

ভারত-বাংলাদেশের সীমান্ত যোগাযোগে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান পেট্রোপোল স্থলবন্দর। বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালাতে এই বন্দরের ওপর নির্ভর করেন দু’দেশের বহু ব্যবসায়ী। তাদের কথা মাথায় রেখে বন্দরটি আধুনিকীকরণ শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ এদিক থেকে অনেকটা এগোনোর পর উদ্যোগী হয়েছে ভারতও। সোমবার (২৪ এপ্রিল) গেদে-দর্শনা স্থলবন্দর পরিদর্শনে গিয়ে এ কথা জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের সংসদ সদস্য জগন্নাথ সরকার।

তিনি বলেন, এখন দু'টি দেশ হলেও আমরা একসময় একসঙ্গে ছিলাম। এখনো হৃদয় এক রয়েছে। দু’দেশে বাণিজ্যের জন্য একমাত্র রেল যোগাযোগ ছিল গেদে দিয়ে। ঠিক সেখানেই একটি আধুনিক স্থলবন্দর নির্মাণের কাজ শুরু হবে।

আরও পড়ুন>> গেদে-দর্শনা স্থলবন্দর চালু, সুদিনের আশায় ব্যবসায়ীরা

ভারতীয় সংসদ সদস্য বলেন, বাংলাদেশ সরকার এরই মধ্যে অনেক কাজ করে ফেলেছে। আমাদের ভারত সরকারও যথেষ্ট উৎসাহ দেখিয়েছে।

jagonews24

তিনি জানান, বন্দর আধুনিকায়নের জন্য ভারত সরকারের নকশা অনুমোদন পেলেও এখনো অর্থ বরাদ্দ হয়নি। এ অবস্থায় কাজ এগিয়ে নিতে সোমবার নিজের সংসদ সদস্য তহবিলের (এমপিএলএডিএস) টাকায় ১৪ ফুট চওড়া ৮৫০ মিটার আপ ও ২৭৫ মিটার ডাউন দুটি রাস্তা নির্মাণের অর্থ মঞ্জুর করেন জগন্নাথ সরকার।

আরও পড়ুন>> পূর্ণাঙ্গ হচ্ছে দর্শনা স্থলবন্দর, পাল্টে যাবে চুয়াডাঙ্গার চেহারা

অপরদিকে, বাংলাদেশের দর্শনা স্থলবন্দর বাস্তবায়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম লিটন বলেন, দর্শনা-গেদে আধুনিক মানের বন্দর হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এডিবির সাসেক্স কর্মসূচির অধীনে আধুনিক বন্দর নির্মাণের জন্য এরই মধ্যে নকশা তৈরি হয়ে গেছে এবং অর্থও চলে এসেছে। ভারতের দিকে যেটুকু বাকি ছিল, সংসদ সদস্য জগন্নাথ সরকার বলেছেন, তার এমপিএলএডিএসের টাকায় সেসব কাজ দ্রুত হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, আমরা আশাবাদী, দ্রুত দর্শনা-গেদে বন্দর নির্মাণ হয়ে যাবে। এটি চালু হলে এ অঞ্চলের মানুষের কর্মসংস্থান হবে। দু’দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যেও নতুন দুয়ার উন্মুক্ত হবে।

ডিডি/কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।