জাপানের সর্বকনিষ্ঠ মেয়র তিনি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৪১ পিএম, ২৫ এপ্রিল ২০২৩
ছবি: সংগৃহীত

জাপানের হিয়োগো প্রশাসনিক অঞ্চলের নতুন মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন রিয়োসুকে তাকাশিমা। গত রোববার ওই অঞ্চলে মেয়র পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। রিয়োসুকে তাকাশিমার বয়স মাত্র ২৬ বছর। এত কম বয়সে দেশটির একটি প্রশাসনিক অঞ্চলের মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস গড়েছেন তিনি। দেশটিতে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কম বয়সী মেয়র তিনি। দ্য জাপান নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে জাপানের সর্বকনিষ্ঠ মেয়র ছিলেন কাতারো শিসিদা। ১৯৯৪ সালে টোকিওর মুসাশিমুরায়ামার মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি। সে সময় তার বয়স ছিল ২৭ বছর।

আরও পড়ুন: প্রথমবারের মতো ক্যাসিনো হচ্ছে জাপানে

টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গত বছর এনভায়রনমেন্টাল/এনভায়রনমেন্টাল হেলথ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ওপর ব্যাচেলর অব আর্টস ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।

ছাত্রাবস্থায় রিউগাকু ফেলোশিপ প্রতিষ্ঠা করেন রিয়োসুকে তাকাশিমা। এই অলাভজনক সংস্থাটি ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন দেশে পড়াশোনা করার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করে।

নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে রিয়োসুকে বলেন, আমি আশা করি মানুষ আমার বয়সের দিকে নয় বরং আমার কাজ এবং আমি যা অর্জন করবো তা দিয়ে আমাকে মূল্যায়ন করবে।

তিনি আরও বলেন, আমার বয়স কম বলেই আমি বেশি পরিশ্রম করতে পারবো। বসবাসের জন্য আমি এশিয়াকে বিশ্বের সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত স্থান হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।

আরও পড়ুন: জনসংখ্যায় এই সপ্তাহেই চীনকে ছাড়াবে ভারত

এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, রিয়োসুকে ৪৬ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। নির্বাচনী প্রচারণায় লোকজনকে আরও বেশি সহায়তা প্রদান, ১৮ বছর বয়সী এবং তার চেয়ে কম বয়সীদের ফ্রি মেডিকেল কেয়ার এবং ইংরেজি শিক্ষা কার্যক্রম আরও উন্নত করার বিষয়ে কথা বলেন এই তরুণ মেয়র।

সিএনএন-এর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি সবুজ অবকাঠামো পরিকল্পনা, জনগণের জন্য আরও বেশি এলাকায় পার্ক নির্মাণ এবং একই সঙ্গে শিক্ষা, শিশুর যত্ন এবং তরুণদের স্বাস্থ্যসেবায় সংস্কারের বিষয়েও কথা বলেছেন।

টিটিএন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।