সুদানে তীব্র সংঘাত, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৬
উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদানের সেনাবাহিনী ও শক্তিশালী আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে তুমুল লড়াইয়ের দ্বিতীয় দিনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৬ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে জাতিসংঘের কর্মীও রয়েছে। খবর আল-জাজিরার।
শনিবার (১৫ এপ্রিল) দেশটির একটি সামরিক ঘাঁটিতে দুই পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় শুরু হয়। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে। সুদানের সামরিক নেতৃত্ব ও ক্ষমতা নিয়ে তীব্র দ্বন্দ্বের ফলে এমন রক্তক্ষয়ী সংঘাত ঘটেছে।
এদিকে সুদানের আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) সদস্যসরা প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ, সেনাপ্রধানের বাসভবন, খার্তুম আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর, রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন স্টেশনসহ দুটি বিমানবন্দরের দখল নেওয়ার দাবি করেছে।
তবে আরএসএফের এ দাবি প্রত্যাখান করেছে সেনাবাহিনী। বিমানবন্দরসহ খার্তুমের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পাল্টা দাবি করেছে তারা। এসব জায়গায় সারারাত তুমুল লড়াই চলেছে।
আরএসএফ এর নেতৃত্বে দিচ্ছেন সুদান সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালু, যিনি হেমেতি নামে অধিক পরিচিত। তিনি সেনাপ্রধান বুরহানকে অপরাধী ও মিথ্যাবাদী বলে অভিহিত করেছেন।
প্রথমদিন প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের নিকটবর্তী এলাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় প্রচণ্ড গোলাগুলি- বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। তাছাড়া খার্তুমের কিছু ভবন থেকেও ধোঁয়ার কুণ্ডলি উঠতে দেখা গেছে।
এমএসএম