মায়ের নামে নালিশ করতে ১৩০ কিমি সাইকেল চালিয়ে দাদির কাছে গেলো বালক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:০৩ পিএম, ১২ এপ্রিল ২০২৩
প্রতীকী ছবি

বাবা-মায়ের ওপর রাগ করে কিশোর-কিশোরীরা অদ্ভুত, অনেক সময় দুঃখজনক ঘটনা ঘটিয়ে ফেলে। কিন্তু চীনে ১১ বছর বয়সী এক বালক যা করেছে, তা অনেকের কাছেই দুঃসাহসিক ব্যাপার। ঝগড়ার পর মায়ের নামে নালিশ করতে প্রায় ২৪ ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে দাদির কাছে যাওয়ার চেষ্টা করেছে ছেলেটি।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের খবরে জানা যায়, মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে দাদির বাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করছিল ছেলেটি। কিন্তু টানা ২২ ঘণ্টা সাইকেল চালিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়ে সে। পরে পুরোপুরি বিধ্বস্ত অবস্থায় তাকে একটি এক্সপ্রেসওয়ে টানেলের ভেতর দেখতে পান পথচারীরা। ঘটনাস্থলে ছুটে আসা পুলিশ সদস্যরাও তার এই অ্যাডভেঞ্চারের কাহিনি শুনে অবাক হন।

ছেলেটির বাড়ি পূর্ব চীনের ঝেজিয়াং প্রদেশের হ্যাংঝোতে। সে বাড়ি থেকে প্রায় ১৪০ কিলোমিটার দূরে মেইজিয়াং কাউন্টিতে দাদির কাছে যেতে চাচ্ছিল।

ছেলেটি জানায়, সে সড়কের চিহ্ন দেখে দেখে এগোচ্ছিল। তবে কয়েক জায়গায় ভুল পথে মোড় নেয়। এ কারণে যে জায়গা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়েছিল, সেখানে পৌঁছাতে স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ সময় লেগে গিয়েছিল। তবে গত ২ এপ্রিল সন্ধ্যায় যখন পুলিশ তাকে উদ্ধার করে, তখন গন্তব্য থেকে মাত্র এক ঘণ্টার দূরত্বে ছিল সে।

jagonews24

যাত্রাপথে বাড়ি থেকে আনা রুটি ও পানি খেয়ে রাত পার করেছিল ছেলেটি। এত দূর সাইকেল চালিয়ে সে এতটাই দুর্বল হয়ে পড়েছিল যে তার পা আর চলছিল না। এ কারণে পুলিশ সদস্যরা তাকে কোলে করে গাড়িতে তোলেন এবং পাশের থানায় নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে তার দাদি ও বাবা-মা এসে ছেলেটিকে নিয়ে যান।

ছেলেটির মা বলেছেন, তার সন্তান দাদির কাছে চলে যাওয়ার হুমকি দিয়েছিল। কিন্তু তিনি ভেবেছিলেন, এটি নিছক রাগের কথা। বাস্তবে যে সে এমনটি করে বসতে পারে, তা ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারেননি তারা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার হতেই এ ঘটনা ভাইরাল হয়ে যায়। সেখানে একজন মন্তব্য করেছেন, আমি শুধু জানতে চাই, দাদি শেষপর্যন্ত ছেলেটির মাকে কিছু বলেছিল কি না।

আরেকজন লিখেছেন, সড়কের চিহ্ন বুঝে চলতে পারায় ছেলেটি যেমন বুদ্ধিমান, রাতের বেলা একা চলায় সে তেমনই সাহসী।

কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।