পাওনা টাকা না দেওয়ায় টুইটারের বিরুদ্ধে মামলা
পাওনা টাকা না দেওয়ায় টুইটারের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন সংস্থাটির সাবেক তিন শীর্ষ কর্মকর্তা। তাদের দাবি, টুইটারে কর্মরত থাকতে একাধিক মামলার শুনানি ও তদন্তে অংশ নিতে গিয়ে ১০ লাখ মার্কিন ডলারের বেশি খরচ হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন পরেও সেই বকেয়া মেটাচ্ছে না ইলন মাস্কের মালিকানাধীন সংস্থাটি।
গত সোমবার (১০ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে টুইটারের বিরুদ্ধে এই মামলা করেছেন জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া সাইটটির সাবেক প্রধান নির্বাহী (সিইও) পরাগ আগারওয়াল, সাবেক প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা (সিএফও) নেড সেগাল এবং প্রধান আইন কর্মকর্তা বিজয়া গাড্ডে।
গত বছর টুইটার কিনে নেওয়ার পরপরই সংস্থাটির এই তিন শীর্ষ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করেন ইলন মাস্ক। তারপর কয়েক মাস কেটে গেলেও নিজেদের প্রাপ্য অর্থ ফেরত পাননি পরাগসহ উচ্চপদস্থ সাবেক কর্মকর্তারা। এ বিষয়ে টুইটারকে জানালেও কোনো সমাধান হয়নি।
এমন পরিস্থিতিতে মার্কিন আদালতে মামলা করেছেন সাবেক তারা। মামলার নথি দেখে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, এতে যুক্তরাষ্ট্রের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) ও বিচার বিভাগের (ডিওজে) তদন্ত সম্পর্কিত খরচের কথা উল্লেখ রয়েছে। তবে কী ধরনের তদন্ত চলছিল এবং সেগুলো এখনো চলছে কি না তা বলা হয়নি।
নথি অনুসারে, ২০২২ সালে টুইটারের তৎকালীন সিইও পরাগ আগরওয়াল এবং সিএফও নেড সেগাল এসইসি’কে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন এবং ফেডারেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করে গেছেন। ইলন মাস্ক টুইটারের শেয়ার কেনার সময় যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করেছিলেন কি না সে বিষয়ে তদন্ত করছে এসইসি।
এছাড়া, সাবেক প্রধান আইনি কর্মকর্তা বিজয়া গাড্ডেকে টুইটারের কন্টেন্ট মডারেশনের বিষয়ে গত বছরের শেষের দিকে মার্কিন কংগ্রেসের শুনানিতে অংশ নেওয়ার জন্য ডাকা হয়েছিল।
পরাগদের দাবি, এসব করতে গিয়ে তাদের ১০ লাখ ডলারের বেশি খরচ হয়েছিল। এই অর্থ পরিশোধ করতে টুইটার কর্তৃপক্ষ বাধ্য। কিন্তু তারা তা করেনি। এ কারণে অর্থ আদায়ে মামলা করা হয়েছে।
মামলা দায়ের হওয়ার পরে মাইক্রো ব্লগিং সংস্থাটির প্রতিক্রিয়া জানতে যোগাযোগ করেছিল এএফপি। কিন্তু মাস্কের সংস্থাটি কেবল একটি পুপ ইমোজি দিয়ে নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। অর্থাৎ, বিষয়টিকে মোটেও পাত্তা দিচ্ছে না টুইটার।
সূত্র: দ্য মিন্ট, এনডিটিভি
কেএএ/