প্রেমে বাধা দেওয়ায় প্রেমিকার বাবা-মাকে কুপিয়ে হত্যা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:৩৯ পিএম, ০৭ এপ্রিল ২০২৩
প্রতীকী ছবি

পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি: 

প্রেমের সম্পর্কে বাধা দেওয়ায় বাড়িতে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রেমিকার বাবা ও মাকে কুপিয়ে হত্যা অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। তার হামলায় আহত হয়েছেন প্রেমিকা ও তার বোন। ভুক্তভোগীদের চিৎকারে এগিয়ে এসে অভিযুক্তকে ধরে গণপিটুনি দিয়েছে গ্ৰামবাসী। পরে আহত অবস্থায় তাকেও স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার (৭ এপ্রিল) ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারের শীতলকুচি এলাকায়।

নিহত বিমল বর্মনের বয়স ছিল ৬৮ বছর। তিনি কোচবিহারের তৃণমূল কংগ্রেসের শীতলকুচি ব্লকের সিডিউল কাস্ট (এসসি) সেলের সভাপতি ছিলেন। তার স্ত্রী নির্মলা বর্মন (৫২) গ্ৰাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেস সদস্য। আহত দুই মেয়ের নাম রুনা বর্মন ও ইতি বর্মন।

আরও পড়ুন>> রমজান চলছে, মুসলিমদের ওপর যেন অত্যাচার না হয়: মমতা

জানা যায়, পাশের গ্ৰামের যুবক বিভূতভূষণ রায়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন ইতি বর্মন। ইতির পরিবার জেনে যায় এ কথা। কিন্তু বিমল বর্মন তার মেয়ের এই সম্পর্ক কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন না। আর তাতেই প্রেমিক বিভূতভূষণের সব আক্রোশ গিয়ে পড়ে প্রেমিকার বাবা-মায়ের ওপর।

শুক্রবার বিমল বর্মনের বাড়ির দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে প্রেমিকার বাবা-মাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন বিভূতভূষণ রায়। আর তাকে বাধা দিতে গিয়ে আহত হন রুনা ও ইতি।

jagonews24আহত ইতি বর্মন। ছবি সংগৃহীত

স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইতির বাবা-মাকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত দুই বোনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন>> পশ্চিমবঙ্গে ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা

রুনা ও ইতির চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ঘরে ঢুকে অভিযুক্ত বিভূতিভূষণকে আটক করেন এবং মারধরের পরে পুলিশের হাতে তুলে দেন।

জানা যায়, ইতির মাকেই প্রথমে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপান বিভূতিভূষণ। এরপর হামলে পড়েন বাবার ওপর। বাধা দিতে গেলে আহত হন প্রেমিকা ও তার বোন।

এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকায়। এরই মধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কোচবিহার পুলিশ।

কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।