নিবন্ধন না করায় রাজনৈতিক দলের তালিকা থেকে বাদ সু চির এনএলডি
নিবন্ধন না করায় মিয়ানমারের কারাবন্দি নেত্রী অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) পার্টিকে রাজনৈতিক দলের তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে জান্তা নিয়ন্ত্রিত দেশটির নির্বাচন কমিশন।
দেশটির নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এনএলডি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন না করায় দলটিকে রাজনৈতিক দলের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) মিয়ানমারের সেনাবাহিনী পরিচালিত মায়াওয়াদ্দি টিভির বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৪০ টি রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য ছিল। এর মধ্যে এনএলডি একটি। এনএলডি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিবন্ধন করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই রাজনৈতিক দলের তালিকা থেকে এনএলডিকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে এনএলডি বলছে, তারা জান্তা নিয়ন্ত্রিত মিয়ানমারের নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনে যাবে না। আসন্ন নির্বাচন হবে অবৈধ। তাই তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না।
আরও পড়ুন>> দুর্নীতির মামলায় সু চির ৫ বছরের জেল
এনএলডির একজন আইন প্রণেতা বলেন, এমন সময় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে যখন আমাদের অনেক রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জনগণকে সামরিক বাহিনী দ্বারা নির্যাতন করা হচ্ছে।
চলতি বছর নির্বাচনে লড়তে রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য কঠোর নিয়ম চালুর ঘোষণা দেয় মিয়ানমার জান্তা সরকার। নতুন আইন অনুযায়ী, জাতীয় নির্বাচনে লড়তে ইচ্ছুক রাজনৈতিক দলগুলোকে ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন করতে সময় বেঁধে দেওয়া হয়। এ সময়ের মধ্যে সু চির দল নিবন্ধনে ব্যর্থ হয়েছে।
মিয়ানমারে সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০২০ সালের নভেম্বরে। সেবার এনএলডি বিপুল ভোটে জয় পায়। তবে, পরের বছরের ফেব্রুয়ারিতেই এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সু চিকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। জান্তার পক্ষ থেকে এনএলডির বিরুদ্ধে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ আনা হয়।
দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক নেত্রী অং সান সু চিকে আরও পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির জান্তা সরকারের একটি বিশেষ আদালত। ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারিতে দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থানের পর তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির ১১টি মামলা বিচারাধীন। এবারই প্রথম তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলার রায় হলো।
নেইপিদোর আদালত সাবেক মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে ছয় লাখ মার্কিন ডলার নগদ অর্থ এবং ১১ দশমিক ৪ কিলোগ্রাম স্বর্ণ ঘুস নেওয়ার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেন সু চিকে। গত অক্টোবরে সু চির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়ে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন যে তিনি তাকে ‘তার সমর্থনের বিনিময়ে’ ঘুস দিয়েছিলেন।
এমএএইচ/