স্মৃতি ধরে রাখতে ছেলের সমাধিতে কিউআর কোড বসালেন মা-বাবা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:২৭ পিএম, ২৮ মার্চ ২০২৩
আইভিন ফ্রান্সিসের সমাধিতে স্থাপন করা কিউআর কোড/ ছবি: সংগৃহীত

মৃত ছেলেকে সবার মাঝে বাঁচিয়ে রাখতে চেয়েছিলেন মা-বাবা। আর সে ইচ্ছে থেকেই ছেলের সমাধির ওপর কিউআর কোড বসানোর অদ্ভুত সিদ্ধান্ত নেন তারা। সবাই ভাবছেন, ব্যাপারটা আসলে কী? কী আছে ওই কোডে?

জানা যায়, মৃত যুবকের নাম আইভিন ফ্রান্সিস। তার ভারতীয় বাবা ওমানে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করতেন। মাও সেখানকার একটি স্কুলের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২৬ বছর বয়সের আইভিন ডাক্তারিও পাস করেছিলেন। সুন্দর করে নিজের জীবন সাজানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন>> মিশরে পশুর হাজার হাজার মমির সন্ধান

কিন্তু ২০২১ সালে ব্যাডমিন্টন খেলতে গিয়ে গুরুতর আহত হন আইভিন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর কেরালার ত্রিচূড়ের কুরিয়াচিরার সেন্ট জোসেফ চার্চে সমাধিস্থ করা হয় ছেলের মৃত্যুর পর থেকে তার বাবা-মায়ের লক্ষ্য ছিল একটাই, মৃত সন্তানকে সবার মধ্যে বাঁচিয়ে রাখা।

এরপরই পরিবারের সবার সঙ্গে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে ছেলের সমাধিতে কিউআর কোড বসানোর চিন্তা মাথায় আসে মা-বাবার। এজন্য একটি ওয়েবসাইট তৈরির সিদ্ধান্ত নেন ওই দম্পতি। সঙ্গে সঙ্গে ওয়েবসাইট তৈরির কাজ শুরু হয়। সেখানে রয়েছে আইভিনের বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি, ভিডিওসহ ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ক্রিয়াকলাপ।

আরও পড়ুন>> দর্শকের দিকে ঢিল ছুড়লো বাচ্চা শিম্পাঞ্জি, শায়েস্তা করলো মা

অর্থাৎ সমাধিস্থলের উপরে থাকা কিউআর কোড স্ক্যান করলেই ওই ওয়েবসাইটে থাকা আইভিনের সবকিছু দেখতে পারবেন যে কেউ। এ বিষয়ে আইভিনের বাবা বলেন, আমি ছেয়েছিলাম, আইভিন সবার কাছে বেঁচে থাকুক। কিন্তু কীভাবে তা বুঝতে পারছিলাম না। একপর্যায়ে আমার মেয়ে ইভিলিন ফ্রান্সিস কিউআর কোড ও ওয়েবসাইট তৈরির বুদ্ধি দেয়।

এদিকে, অভিনব এ কাণ্ড নেটদুনিয়ায় বেশ সাড়া ফেলেছে। নেটিজেনদের অনেকেই বিষয়টিকে সন্তানের প্রতি মা-বাবার গভীর ভালোবাসার চিহ্ন দাবি করেছেন।

আরও পড়ুন>> ইফতারে ভাইকে দাওয়াত না দেওয়ায় স্ত্রীকে তালাক

সূত্র: এনডিটিভি

এসএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।