নিখোঁজের ২ বছর পর বাংলাদেশ থেকে ভারতে পৌঁছালো এক তরুণ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:১৪ এএম, ২২ মার্চ ২০২৩
ছবি: সংগৃহীত

ধৃমল দত্ত, কলকাতা

নিখোঁজের ২ বছর পর আইনি প্রক্রিয়া শেষে অবশেষে বাংলাদেশ থেকে ভারতের উত্তরপ্রদেশে ফিরেছেন দেশটির এক মানসিক প্রতিবন্ধী তরুণ সুভাষ। সন্তানকে কাছে পেয়ে উচ্ছ্বসিত তার বাবা-মা।

সুভাষের বেঁচে থাকার আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন তার বাবা লক্ষ্মণ প্রসাদ ও মা সুনীতা দেবি। উত্তরপ্রদেশের রামনগর কণ্ডা গ্রামের বাসিন্দা তারা।

২০২২ সালের আগষ্ট মাসে হঠাৎই বাংলাদেশ থেকে ফোন যায় সুভাষের গ্রামের বাড়িতে। ফোনে বলা হয় তাদের একমাত্র ছেলে বেঁচে আছে। এরপর থেকে বেশ কয়েক মাস ধরে গ্লোরী সমাজ উন্নয়ন সংস্থা নামে বাংলাদেশের একটি বেসরকারি আশ্রয় কেন্দ্রে থাকেন সুভাষ। সেখান থেকেই ভিডিও কলে ছেলের সঙ্গে কথা বলেন তার বাবা-মা।

অবশেষে মঙ্গলবার, ২১ মার্চ বাংলাদেশ-ভারতের বেনাপোল-পেট্রাপোল আন্তর্জাতিক স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন সুভাষ। তাকে গ্রহণ করার জন্য ভারতের সীমান্তে তার বাবা-মাসহ গুজরাট রোটারী ক্লাব বারুচ এর সদস্য রিজওয়ানা শানকিন জামিনদারও উপস্থিত ছিলেন। পরে সুভাষকে নিয়ে পেট্রাপোল থেকে সড়ক পথে যশোর রোড, কলকাতা হয়ে গাড়ি পৌঁছায় হাওড়া স্টেশনে। স্থানীয় সময় রাত বারোটার ট্রেনে উত্তরপ্রদেশে গ্রামের বাড়ি ফিরবেন তারা।

২০২১ সালের জুন মাসে নীলফামারী জেলার ডিমলা থেকে সুভাষকে উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে নীলফামারী থানার পুলিশ কর্মকর্তাদের সহায়তায় ২০২১ সালে সুভাষকে ভর্তি করানো হয় রংপুর মেডিকেল কলেজে অ্যান্ড হাসপাতালের নিউরোসায়েন্স বিভাগে। চিকিৎসা শেষে ওই বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর সুভাষকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে বাংলাদেশ সমাজসেবা অধিদফতরের তরফে গ্লোরী সমাজ উন্নয়ন সংস্থা নামে একটি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কাছে সুভাষকে হস্তান্তর করা হয়।

এসএনআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।