অ্যাডিনোভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে কলকাতায় ফের শিশুর মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:৪৮ পিএম, ২০ মার্চ ২০২৩
জ্বর, সর্দি-কাশি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে বহু শিশু। ছবি: সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি: 

অ্যাডিনোভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে আবারও শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটলো কলকাতা বিধানচন্দ্র রায় (বি সি রায়) হাসপাতালে। গত রোববার (১৯ মার্চ) মৃত্যু হয় শিশুটির। পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই মারা গেছে তাদের সন্তান।

গত ৩ মার্চ কলকাতার বিধাননগরের বাসন্তী কলোনির এক বাসিন্দা তার পাঁচ মাসের শিশুকে জ্বর, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট উপসর্গ নিয়ে বি সি রায় হাসপাতালে ভর্তি করান। ১৬ দিন পর গত রোববার শিশুটির মৃত্যু হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতালটিতে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

আরও পড়ুন>> ২ মাসে ১১৫ শিশুর মৃত্যু, স্বাস্থ্য খাতের সব ছুটি বাতিল

পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে তাদের সঙ্গে শিশুটির পরিবারের তুমুল বাকবিতণ্ডা ঘটে। এমনকি পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতির মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।

শিশুটির মৃত্যু কীভাবে হয়েছে তা হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি বলে অভিযোগ পরিবারের। চিকিৎসায় গাফিলতির কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলেই দাবি স্বজনদের।

আরও পড়ুন>> টাকা আছে, খরচ করতে পারছে না পশ্চিমবঙ্গ

jagonews24

কয়েক মাস ধরে রাজ্যজুড়ে একের পর এক শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটে চলেছে। জ্বর, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে শিশুদের। বেসরকারি হিসাবে, গত দু’মাসে ১০০র বেশি শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটছে হাসপাতালগুলোতে। এসব মৃত্যুর কারণ হিসেবে অ্যাডিনোভাইরাসকে দায়ী করেছেন অনেকে।

আরও পড়ুন>> বাজার-সদাই থেকে পরিবেশন, যে রেস্তোরাঁর সব কাজই করেন নারীরা

সরকারের হিসাবে, গত আড়াই মাসে ১৩ হাজার ৬১ শিশু জ্বর, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তার মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের।

কিন্তু শিশুমৃত্যুর বিষয়ে সরকারি পরিসংখ্যান নিয়ে বিরোধী দলগুলোর অভিযোগ, সরকার সঠিক তথ্য দিচ্ছ না। এ নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভায় প্রশ্নও তুলেছেন। তার অভিযোগ, করোনার সময় সরকার যেভাবে তথ্য গোপন করেছে, ঠিক সেভাবে অ্যাডিনোভাইরাসে শিশুমৃত্যুর তথ্যও গোপন করছে।

কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।