সরকারবিরোধী বিক্ষোভ

২২ হাজার বিক্ষোভকারীকে ক্ষমা করলো ইরান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:১২ এএম, ১৪ মার্চ ২০২৩
ছবি: সংগৃহীত

সরকারবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ২২ হাজার আন্দোলনকারীকে ক্ষমা করে দিয়েছে ইরানের বিচার বিভাগ। দেশটির বিচার বিভাগের প্রধান গোলাম হোসেইন মোহসেনি ইজেই সোমবার (১৩ মার্চ) তাদের ক্ষমা করে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আইআরএনএ জানিয়েছে এ তথ্য।

রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি সরকারবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেওয়াসহ হাজার হাজার বন্দীকে ক্ষমা করে দিয়েছেন।

আরও পড়ুন> মাহসা আমিনির মৃত্যু: প্রতিবাদের ঢেউ কীভাবে সামলাবে ইরান?

গোলাম হোসেইন আরও জানিয়েছেন, এরই জেরে এখন পর্যন্ত ৮২ হাজার মানুষকে ক্ষমা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ২২ হাজার বিক্ষোভকারী রয়েছেন। যদিও তিনি কোন মেয়াদে ক্ষমা মঞ্জুর করা হয়েছে বা কখন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে তা উল্লেখ করেননি।

আরও পড়ুন>ইরানের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আসছে

২২ হাজার বিক্ষোভকারীকে ক্ষমা করলো ইরান

ইরানে জনসম্মুখে নারীদের বাধ্যতামূলক হিজাব পরাসহ কঠোর পর্দা পালনের নিয়ম রয়েছে। এ বিধিগুলো তদারকির জন্য দেশটিতে ‘নৈতিকতা বা নীতি পুলিশ‘ নিয়োগ করা ছিল। নীতি পুলিশের একটি দল, গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর তেহরান থেকে ২২ বছর বয়সী মাহশা আমিনিকে আটক করে। আমিনি তার পরিবারের সঙ্গে তেহরানে ঘুরতে গিয়েছিলেন। আটকের পর পুলিশি হেফাজতে অসুস্থ হয়ে পড়লে মাহশাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৬ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন> হিজাব ইস্যুতে বিক্ষোভে নিহত ২০০, স্বীকার করলো ইরান

এ ঘটনার প্রতিবাদে তেহরানে ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয়। পরে পুরো ইরানে সে আন্দোলন-বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে তা রূপ নেয় সরকারবিরোধী আন্দোলনে। বিক্ষোভে ৫১৬ জন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করে হিউম্যান রাইটস অ্যাক্টিভিস্টস নিউজ এজেন্সি। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার গোষ্ঠী অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানায়, গণবিক্ষোভ দমাতে ও সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে ভয় ছড়ানোর জন্য কয়েকজনের মৃত্যুদণ্ড দেয় রাইসি প্রশাসন।

সূত্র: রয়টার্স

এসএনআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।