রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ

তুমুল লড়াই বাখমুতে, দুই বাহিনীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির দাবি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:০৫ পিএম, ১৩ মার্চ ২০২৩
ছবি: সংগৃহীত

বাখমুতের যুদ্ধে উভয় পক্ষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কথা জানিয়েছে ইউক্রেন ও রাশিয়া। রুশ বাহিনীর দাবি, গত ২৪ ঘণ্টায় তারা ২২০ জনেরও বেশি ইউক্রেনীয় সেনাসদস্য হত্যা করেছে। অন্যদিকে ইউক্রেনীয় বাহিনীর দাবি, গত কয়েকদিনে তাদের আক্রমণে ১ হাজার ১০০ জনেরও বেশি রুশ সেনা নিহত হয়েছে।

সোমবার (১৩ মার্চ) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। যদিও দুই দেশের দাবিকৃত হতাহতের সংখ্যা যাচাই করতে পারেনি বিবিসি। তবে  এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, বাখমুতে দুই দেশের তুমুল লড়াই চলছে।

বিবিসি বলছে, বাখমুতের কৌশলগত গুরুত্ব কম হলেও, রুশ কমান্ডারদের কাছে শহরটি যুদ্ধের অন্যতম কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। গত কয়েকমাস ধরেই ইউক্রেনের এ অঞ্চলটি দখলের জোর চেষ্টা চালিয়ে আসছে রাশিয়া।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বাখমুত দখল করতে পারলে রাশিয়া পুরো দোনেৎস্ক নিয়ন্ত্রণের যে লক্ষ্যে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে, তা কিছুটা হলেও সফল হবে। দোনেৎস্ক পূর্ব ও দক্ষিণ ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলের মধ্যে একটি, যেটিকে গত সেপ্টেম্বরে গণভোটের মাধ্যমে রাশিয়ার অধিভুক্ত করা হয়।

বাখমুতে নিযুক্ত ইউক্রেনীয় কমান্ডাররা বলছেন, তারা রুশ সেনাদের এ শহরে প্রবেশে বাধা দেওয়ার কৌশল অবলম্বন করছেন। তরা চান, রাশিয়া যাতে আগামি মাসে এ অঞ্চলে আর কোনো আক্রমণ চালাতে না পারে।

রোববার (১২ মার্চ) রাতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এক ভিডিও বার্তায় দাবি করেন, চলতি বছরের ৬ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত ইউক্রেনীয় বাহিনীর আক্রমণে বাখমুত যুদ্ধরত ১ হাজার ১০০ জনেরও বেশি রুশ সেনা নিহত ও প্রায় দেড় হাজার রুশ সেনা আহত হয়েছে। এটি রাশিয়ার জন্য অপূরণীয় একটি ক্ষতি।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, রুশ বাহিনীর আক্রমণে বাখমুতে যুদ্ধরত অন্তত ২২০ জন ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছে।

ইউক্রেনের স্থল বাহিনীর কমান্ডার কর্নেল জেনারেল ওলেক্সান্ডার সিরস্কি বলেন, রাশিয়ার ভাড়াটে বাহিনী ওয়েগনার গ্রুপ আমাদের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করে বাখমুতের কেন্দ্রীয় শহরগুলোতে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা চালিয়েছিল। কিন্তু আমাদের সৈন্যরা তাদের প্রতিহত করেছে।

গত কয়েকমাস ধরে বাখমুতে যেসব বড় ধরনের রুশ হামলার ঘটনা ঘটেছে, সেগুলো অধিকাংশই ঘটিয়েছে ওয়াগনার গ্রুপ। আধাসামরিক এ বাহিনীর নেতা ইয়েভজেনি প্রিগোজিন, বাখমুত দখলের বিষয়টি তার ও গ্রুপটির মান-সম্মানের বিষয় বলে দাবি করেছেন।

রোববার প্রিগোজিন বলেন, বাখমুতের পরিস্থিতি খুবই জটিল। প্রতি মিটার এগোতে ব্যাপক লড়াই করতে হচ্ছে। আমরা যতই শহরটির কেন্দ্রে পৌঁছানোর চেষ্টা করবো, লড়াই ততই তীব্র হবে। তবে আমাদের আশা, আমরা বাখমুত দখল করতে সক্ষম হবো।

রুশ আক্রমণের আগে বাখমুতে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ বসবাস করতো। কিন্তু বর্তমানে মাত্র কয়েক হাজার লোক সেখানে অবস্থান করছেন। শহরটি একসময় লবণ ও জিপসাম খনির জন্য সুপরিচিত ছিল।

সূত্র: বিবিসি

এসএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।