কাল্পনিক দেশ ‘কৈলাসের’ প্রতিনিধি জাতিসংঘে, ভারতে বিতর্ক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:৫২ পিএম, ০৬ মার্চ ২০২৩
ছবি: সংগৃহীত

কয়েক দিন আগে জাতিসংঘের এক বৈঠকে যোগ দিয়েছিল ভারতের পলাতক অপরাধী তথা স্বঘোষিত ধর্মগুরু নিত্যানন্দের কাল্পনিক দেশ ‘কৈলাস’-এর প্রতিনিধিরা। তারপর থেকেই গোটা ভারতজুড়ে আলোচনা চলছে কৈলাস নিয়ে।

জাতিসংঘের বৈঠকে স্ব-ঘোষিত ধর্মগুরু নিত্যানন্দের সুরক্ষা দাবি করেছেন তার প্রতিনিধি বিজয়প্রিয়া। মূলত আন্দর্জাতিক মহলের স্বীকৃতিপেতে মরিয়া নিত্যানন্দ। কিন্তু ইচ্ছাপূরণ হয়নি তার। জাতিসংঘের কার্যবিবরণী থেকে কৈলাসের প্রতিনিধির মন্তব্য বাদ দেওয়া হয়েছে। এবার মার্কিন শহর নিউইয়র্ক লাসের সঙ্গে করা চুক্তি বাতিল করলো।

চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি নিউইয়র্ক ও কৈলাসের মধ্যে ‘সিস্টার সিটি’ হওয়ার বিষয়ে একটি চুক্তি সই হয়েছিল। সেই চুক্তি সই অনুষ্ঠানের বেশ কয়েকটি ছবিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিল নিত্যানন্দ।

কিন্তু নেওয়ার্ক সিটির যোগাযোগ বিভাগের প্রেস সেক্রেটারি সুসান গারোফালো জানিয়েছেন, চুক্তিটি বাতিল করা হয়েছে। গারোফালো বলেছেন, কৈলাসের পরিস্থিতি সম্পর্কে জেনে নিউইয়র্ক সিটি ১৮ জানুয়ারি সিস্টার সিটি চুক্তিটি বাতিল করে। প্রতারণার ভিত্তিতে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এটি ছিল ভিত্তিহীন ও অকার্যকর। এটা দুঃখজনক ঘটনা। নিউইয়র্ক শহর যোগাযোগ, সমর্থন এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধারভিত্তিতে একে অপরকে সমৃদ্ধ করার জন্য বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পটভূমির মানুষের সঙ্গে অংশীদারি গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

গত কয়েকদিন ধরেই খবরে শিরোনামে রয়েছেন নিত্যানন্দ। নিত্যানন্দের বিরুদ্ধে ভারতে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। তিনি ২০১৯ সালে ভারত থেকে পালিয়ে যান। পালিয়ে যাওয়ার পর তিনি একটি জমি কিনে নিজের আলাদা দেশ হিসেবে ঘোষণা করেন। দেশের নাম রাখেন ‌‘কৈলাস’।

জাতিসংঘের সমাবেশে বিজয়প্রিয়া নিত্যানন্দ তার দাবি করেন কৈলাস যুক্তরাষ্ট্র হিন্দুদের প্রথম সার্বভৌম দেশ, যা নিত্যানন্দ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। নিত্যানন্দকে হিন্দুদের ‘সর্বোচ্চ গুরু’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন বিজয়প্রিয়া।

তবে কোথায় এই নিত্যানন্দের এই কৈলাস অবস্থিত। কোথায় তার অবস্থান সে সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।

এমএসএম

 

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।