ভূমিকম্প

স্যাটেলাইট চিত্রে সিরিয়ার ধ্বংসযজ্ঞ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৩৩ এএম, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

সিরিয়া এবং তুরস্কের সীমান্ত অঞ্চলে ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে। দুদেশের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এই ভূমিকম্পে। গত সপ্তাহে আঘাত হানা ওই ভূমিকম্পে সিরিয়ার একটি ছোট শহরের ধ্বংসযজ্ঞের বেশ কিছু স্যাটেলাইট চিত্র সামনে এসেছে।

সিরিয়ার জিনদারিস শহরে ভূমিকম্পের পর যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাকে ভয়াবহ বিপর্যয় বলে উল্লেখ করেছেন দেশটিতে উদ্ধারকাজের নেতৃত্ব দেওয়া হোয়াইট হেলমেট গ্রুপের প্রধান রায়েদ আল-সালাহ। তিনি জানিয়েছেন, চারদিকে ধ্বংসস্তূপ আর ভয়ঙ্কর অবস্থা। ওই শহরটি বিরোধীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলের কাছাকাছি ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে প্রায় দুইশ ভবন পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। হোয়াইট হেলমেট জানিয়েছে, সেখানকার ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ৫১৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া আহত অবস্থায় আরও ৮১৩ জনকে উদ্ধার করা হয়।

আরও পড়ুনঃ ২০০ ঘণ্টা পর ৯ জন জীবিত উদ্ধার, মৃত্যু ছাড়ালো ৪১ হাজার

সংস্থাটি অভিযোগ করেছে যে, জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তারা ভারী যন্ত্রপাতি এবং অন্যান্য বিশেষজ্ঞ সরঞ্জাম সরবরাহের আহ্বান জানালেও এখনো পর্যন্ত সহায়তা মেলেনি। এতে করে উদ্ধার কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে।

সংস্থার প্রধান রায়েদ আল-সালাহ মঙ্গলবার সতর্ক করে বলেন, উত্তর-পশ্চিমে উদ্ধার কাজ প্রায় শেষের দিকে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেন, সেখানে আর কারও বেঁচে থাকার আশা খুবই ক্ষীণ। তবে আমরা শেষ চেষ্টা করে যাচ্ছি এবং সব জায়গায় শেষ বারের মতো তল্লাশি চালাচ্ছি।

আরও পড়ুনঃ ভয়াবহ ভূমিকম্প সামলাতে কতটা প্রস্তুত ইস্তাম্বুল?

এদিকে ভূমিকম্পের এক সপ্তাহ পর ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও ৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) তাদের উদ্ধার করা হয়। সিরিয়া ও তুরস্কে ভয়াবহ এই দুর্যোগের পর এখন পর্যন্ত ৪১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

দেশ দুটিতে চরম মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। সেকারণে এখন জরুরি সহায়তার দিকে মনোযোগী সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো।

টিটিএন/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।