ব্যাংকের লকারের দুই লক্ষাধিক রুপি সাবাড় করলো উইপোকা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:০২ পিএম, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
ছবি: সংগৃহীত

ব্যাংকের লকারে রাখা দুই লাখ ১৫ হাজার রুপি সাবাড় করলো উইপোকা। কষ্ট করে গচ্ছিত অর্থ এভাবে নষ্ট হওয়ায় গ্রাহকদের মাথায় হাত পড়েছে। ব্যাংকের লকার থেকে এভাবে টাকা নষ্ট হয়ে যাবে বিশ্বাস করতেও কষ্ট হচ্ছে তাদের।

ভারতের রাজস্থান রাজ্যের একটি ব্যাংকে এমন ঘটনা ঘটেছে। পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের ওই শাখায় পেস্ট কন্ট্রোলের কোনো ব্যবস্থা নেই বলেই এমন ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

আরও পড়ুন: গুজরাটে দেখা মিললো ফুচকাওয়ালা ‘নরেন্দ্র মোদী’র

সুনীতা মেহতা নামে এক গ্রাহকের অভিযোগ, রাজস্থানের উদয়পুরের ওই ব্যাংকে তার লকার ছিল। সেখানেই নিজের কষ্টার্জিত ২ লাখ ১৫ হাজার রুপি জমিয়ে রেখেছিলেন তিনি।

কিন্তু সম্প্রতি ওই লকার খুলতে গিয়ে হতবাক হয়ে পড়েন। তিনি দেখতে পান অসংখ্য উইপোকা লকারের ভেতরে বাসা বেঁধেছে। টাকার ওপর উইপোকা কিলবিল করছে। বান্ডিলগুলোও আর আগের অবস্থায় নেই। সেগুলো কেটে এমন অবস্থা হয়েছে যে আর ব্যবহারই করা যাবে না।

আরও পড়ুন: চলন্ত ট্রেনের নিচে পড়ে গেলেও প্রাণে বাঁচলেন, ভিডিও ভাইরাল

নিজের কষ্টের টাকার এই হাল দেখে অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই গ্রাহক। ব্যাংকের অন্য গ্রাহকরাও বিপাকে পড়েন। জানা গেছে, ব্যাংকের আরও ২০-২৫টি লকারে হানা দিয়েছে উইপোকা। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

গ্রাহকরা বলছেন, লকারে যা রাখা হচ্ছে সেটা সুরক্ষিত রাখাটাই ব্যাংকের দায়িত্ব। কিন্তু ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সেটা করেনি। তাছাড়া ব্যাংকে পেস্ট কন্ট্রোলেরও কোনো ব্যবস্থাও নেই।

আরও পড়ুন: ফুটফুটে সন্তানের জন্ম দিলো কেরালার ট্রান্সজেন্ডার জুটি

এমনিতে লকারে কোনো গ্রাহক টাকা রাখলে তার দায়িত্ব গ্রাহককেই নিতে হয়। কত টাকা রাখা হলো সেটাও দেখে না ব্যাংক। লকার সুরক্ষিত রাখা ছাড়া আর কোনো কাজ থাকে না ব্যাংকের। তবে এই পরিস্থিতিতে গ্রাহকদের কথা মানবিকভাবে ভাবা হবে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকের ম্যানেজার।

ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পুরো ঘটনা জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে গ্রাহকরা টাকা ফেরত পাবেন কি না, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়।

সূত্র: ইন্ডিয়া ট্যুডে

টিটিএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।