নতুন ‘মুদ্রা’ হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে পেঁয়াজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:১৩ পিএম, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
ছবি সংগৃহীত

টাকার বিনিময়ে প্রয়োজনীয় পণ্য কেনার বিষয়টি সবার কাছেই স্বাভাবিক। কিন্তু পেঁয়াজের বিনিময়েও যে পণ্য কেনা যায় সেটা একটু অস্বাভাবিকই। অর্থাৎ পেঁয়াজও এখন বিনিময়ের বাহক বা মুদ্রা হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। সবার কাছে বিষয়টি অস্বাভাবিক মনে হলেও ইদানীং বিষয়টি স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে ফিলিপাইনে। সেখানে পেঁয়াজ এখন বিলাসী পণ্য। কারণ দেশটিতে এটির মূল্য বেড়ে আকাশচুম্বী হয়েছে। খবর খালিজ টাইমসের।

ম্যানিলার একটি স্টোরে অনেক ফিলিপিনোকে দেখা যায়, পকেটে করে পেঁয়াজ নিয়ে আসতে। এই পণ্যের বিনিময়ে তারা অন্যান্য পণ্য কিনতে পারছেন।

আরও পড়ুন>ফিলিপাইনে পেঁয়াজ খাওয়া মানে বিলাসিতা

ম্যানিলার উত্তরের কুইজোন শহরে জাপান হোম সেন্টারের ভেতরে শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দেখা গেছে, যেসব পণ্যের দাম ৮৮ পেসো বা তার নিচে সেগুলো একটি পেঁয়াজের বিনিময় পাওয়া যাচ্ছে। তাছাড়া সিরামিক ফুলদানি ও মোমবাতিদানির একটি তাকও রয়েছে, যার দুইটা একটি পেঁয়াজে দেওয়া হচ্ছে।

জানা গেছে, ফিলিপাইনের এই নতুন মুদ্রা দিয়ে সর্বোচ্চ তিনটি আইটেম কেনা যায়। তাই নতুন মুদ্রা পেঁয়াজ নিয়ে দোকানে ভিড় জমাচ্ছে ক্রেতারা।

এমন পরিস্থিতিতে যারা পেঁয়াজ দিয়ে অন্য পণ্য কিনতে চায় তাদের জন্য বিক্রেতারা বিশেষ লাইনের ব্যবস্থা করছে। সারিতে থাকা একজন নারীকে একটি প্যান ও একটি স্টেইনলেস শাওয়ার ক্যাডি ধরে থাকতে দেখা যায়। এসময় একজন কিশোরী একটি কোলান্ডার ও একটি এয়ার ফ্রেশনারের জন্য অর্থ হিসেবে পেঁয়াজ দিচ্ছে। অন্য একজন তিনটি পেঁয়াজের বিনিময়ে তার প্রিয় চিপস, চকলেট কুকিজ ও ওয়েফার রোল পেয়েছে।

মূলত ফিলিপাইনে বাজারে, রেস্তোরাঁয় কিংবা বাড়িতে কোথাও পেঁয়াজ নেই। দেশটির পরিসংখ্যান বলছে, ফিলিপাইনে গত ডিসেম্বরে পেঁয়াজ বিক্রি হয় কেজিপ্রতি ৭০০ পেসো বা ১২ দশমিক ৮০ ডলার বা ১ হাজার ৩৫৮ টাকা দরে। দেশটিতে পেঁয়াজের এই দাম মাংসের দামের চেয়েও বেশি এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দৈনিক ন্যূনতম মজুরির সমান। দেশটিতে এখনো একই রকম পরিস্থিতি।

এমএসএম

 

 

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।