ইউক্রেনে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান পাঠানো নিয়ে পশ্চিমা মিত্রদের ভিন্নমত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:০৫ পিএম, ৩১ জানুয়ারি ২০২৩
ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেনে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান পাঠানো নিয়ে পশ্চিমা মিত্রদের মধ্যে বিতর্ক চলছে। এর মাঝে, ধারণা করা হচ্ছে, ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) প্যারিসে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে দেখা করবেন। এর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট যুদ্ধবিমান পাঠানো নিয়ে ‘না’ বলে দিয়েছেন।

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভের একজন উপদেষ্টা শুক্রবার বলেন, ইউক্রেন গত সপ্তাহে যুদ্ধ ট্যাংক সরবরাহ সুরক্ষিত করার পর এফ-১৬ এর মতো যুদ্ধবিমানের জন্য পশ্চিমাদের চাপ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) এ নিয়ে হোয়াইট হাউজে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে জবাবে বাইডেন বলেন, ‘না।’

আরও পড়ুন> দ্য ইকোনমিস্টের প্রতিবেদন/ ইউক্রেনে ট্যাংক পাঠানো নিয়ে কী ভাবছে ফ্রান্স

তবে ফ্রান্স ও পোল্যান্ড ইউক্রেনের এই ধরনের অনুরোধ মেনে নিতে ইচ্ছুক বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ সোমবার হেগে সাংবাদিকদের বলেছেন, সামরিক সহায়তার ক্ষেত্রে ‘সংজ্ঞা অনুসারে, কিছুই বাদ দেওয়া হয় না।’

ওয়াশিংটনে বাইডেন বক্তৃতা দেওয়ার আগে ফরাসি টেলিভিশনে করা মন্তব্যে, ম্যাক্রোঁ জোর দিয়ে বলেন, এ ধরনের যেকোনো পদক্ষেপ ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি এড়ানোর প্রয়োজনীয়তা ও বিমানটি ‘রাশিয়ার মাটি স্পর্শ করবে না’ এমন আশ্বাসসহ বেশ কয়েকটি কারণের ওপর নির্ভর করবে।

তিনি বলেন, রেজনিকভ মঙ্গলবার প্যারিসে তার ফরাসি প্রতিপক্ষ সেবাস্তিয়ান লেকর্নুর সঙ্গে দেখা করবেন।

সোমবার পোল্যান্ডে, বাইডেনের বক্তব্যের আগে একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী মাতেউস মোরাউইকিও প্রতিবেশী ইউক্রেনে এফ-১৬ সম্ভাব্য সরবরাহকে অস্বীকার করেননি। মোরাউইকি তার ওয়েবসাইটে পোস্ট করা মন্তব্যে বলেছেন, এ জাতীয় যে কোনো সিদ্ধান্ত ন্যাটো দেশগুলোর সঙ্গে ‘সম্পূর্ণ সমন্বয়ের মাধ্যমে’ হবে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের অফিসের প্রধান আন্দ্রেই ইয়ারমাক টেলিগ্রাম চ্যানেলে পৃথক পোস্টে বলেছেন, পোল্যান্ড থেকে ‘ইতিবাচক সংকেত’ এবং ফ্রান্স তার এ ধরনের পদক্ষেপকে ‘বাদ দেয় না।’

আরও পড়ুন> অবশেষে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি ইউক্রেনে ট্যাংক পাঠাতে প্রস্তুত

ন্যাটোপ্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ মঙ্গলবার জাপানে ছিলেন। সেখানে তিনি ইউক্রেনকে ‘বিমান ও কার্গো সক্ষমতা’ প্রদানের জন্য টোকিওকে ধন্যবাদ জানান। একদিন আগে দক্ষিণ কোরিয়ায় ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তার জন্য সিউলের প্রতিও আহ্বান জানান তিনি।

সূত্র: রয়টার্স

এসএনআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।