ফিলিপাইনে পেঁয়াজ খাওয়া মানে বিলাসিতা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৫১ এএম, ২৭ জানুয়ারি ২০২৩
ছবি: সংগৃহীত

ফিলিপাইনে বাজারে, রেস্তোরাঁয় কিংবা বাড়িতে কোথাও পেঁয়াজ নেই। দেশটির পরিসংখ্যান বলছে, ফিলিপাইনে গত মাসে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ৭০০ পেসো বা ১২ দশমিক ৮০ ডলার বা ১ হাজার ৩৫৮ টাকা দরে। দেশটিতে পেঁয়াজের এই দাম মাংসের দামের চেয়েও বেশি এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দৈনিক ন্যূনতম মজুরির সমান।

রিজালদা মাউনেস যিনি কেন্দ্রীয় সেবু শহরের একটি পিজারিয়া চালান, তিনি বলেন, যদিও সম্প্রতি দাম কিছুটা কমেছে। তবে পেঁয়াজ এখনও অনেক ভোক্তার কাছে বিলাসিতা। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দিনে তিন থেকে চার কেজি পেঁয়াজ কিনতাম। এখন আমরা আধা কেজি কিনি যা আমাদের সামর্থ্যের মধ্যে আছে।’

রিজালদা বলেন, ‘আমাদের গ্রাহকরা বোঝে কারণ এটি কেবল রেস্তোরাঁ নয়। অনেক পরিবার পেঁয়াজ পাচ্ছেই না।’

ফিলিপিনো খাবারের প্রধান এই উপাদান জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয়ের প্রতীক হয়ে উঠেছে। দেশটির মুদ্রাস্ফীতি গত মাসে, বিগত ১৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ হয়েছে। খাদ্যপণ্য থেকে শুরু করে জ্বালানি পর্যন্ত সব কিছুর দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে সেখানে।

প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র, যিনি দেশটির কৃষিবিভাগের দায়িত্বও পালন করেন, খাদ্যের দাম বৃদ্ধিকে একটি ‘জরুরি পরিস্থিতি’ বলে অভিহিত করেছেন। এ মাসের শুরুর দিকে মার্কোস সরবরাহ বাড়ানোর প্রয়াসে লাল ও হলুদ পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফিলিপাইনের অর্থনীতি পুনরায় সচল হওয়ায় চাহিদা বেড়ে গেছে। অন্যদিকে, কঠিন আবহাওয়া পরিস্থিতি পেঁয়াজসহ খাদ্য উৎপাদনকে ব্যাহত করেছে।

আইএনজি ব্যাংকের একজন শীর্ষ অর্থনীতিবিদ বলেন, গত আগস্ট মাসে দেশটির কৃষি বিভাগ ফসলের সম্ভাব্য ঘাটতির পূর্বাভাস দিয়েছিল। এ ছাড়া, ফিলিপাইনে দুটি শক্তিশালী ঝড় আঘাত হানে যাতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। অর্থনীতি দ্রুত পুনরুদ্ধার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চাহিদাও বেড়েছে বলেও জানান তিনি।

সূত্র: বিবিসি

এসএনআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।