এবার গাজায় ইসরায়েলের হামলা
ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা গাজা উপত্যকা থেকে দক্ষিণ ইসরায়েলের দিকে রকেট ছোড়ার পর ইসরায়েলি বাহিনী সেখানে হামলা চালিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) এ ঘটনা ঘটে। তবে রকেট হামলার বিষয়ে হামাসের এখনও কোনো মন্তব্য জানা যায়নি।
বৃহস্পতিবার অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে এখন পর্যন্ত ১০ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আন্তঃসীমান্ত সংকটে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের বছরের পর বছর যুদ্ধের মধ্যে এটি একটি বড় ঘটনা।
গাজা সীমান্তের কাছে ইসরায়েলিদের সতর্ক করতে রকেট হামলার সাইরেন বাজানো হয় বলে জানা গেছে। বাসিন্দাদের অন্যত্র আশ্রয় নিতে বলা হয় সে সময়। তবে এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
ইসরায়েলের চ্যানেল ১২, গাজা থেকে প্রায় ১২ কিমি (৭ মাইল) উত্তরে, হামাসের নিয়ন্ত্রিত আশকেলন শহরে ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র চালানোর ফুটেজ সম্প্রচার করে। কয়েক ঘণ্টা পর, ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানায়, তারা গাজায় হামলা চালিয়েছে।
ফিলিস্তিনি প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি বিমান হামাসের একটি প্রশিক্ষণ শিবির লক্ষ্য করে আঘাত করে। তবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে, ফিলিস্তিনের জেনিন শরণার্থী ক্যাম্পে তাণ্ডব চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) দিনভর হামলায় নিহত হয়েছেন ১০ জন। এতে আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ২০ জন।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, নিহতদের একজন শুধু আল-রাম এলাকার বাসিন্দা, বাকিরা সবাই শরণার্থী ক্যাম্পের।
এ ঘটনার পর থেকে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। জেনিনে সহিংসতার পর ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা ইসরায়েলের সঙ্গে নিরাপত্তা সমন্বয় সমাপ্ত করেছে।
এদিকে, এ ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরায়েল পরিস্থিতির অবনতি চাইছে না, যদিও তিনি নিরাপত্তা বাহিনীকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
উত্তেজনা কমাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ ও আরব কর্মকর্তারা ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন।
গতবছর মার্চ ও এপ্রিলে ইসরায়েলে একাধিক প্রাণঘাতী হামলার পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর দফায় দফায় অভিযান শুরু হয় ফিলিস্তিনের বিভিন্ন শহরে। বিশেষ করে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ক্ষমতায় বসার পর অধিকৃত পশ্চিম তীরে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়।
সম্প্রতি ফিলিস্তিনিদের নিন্দা ও তীব্র আপত্তি উপেক্ষা করেই আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইতেমার বেন-গাভিরের সফরের ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়। সফরে, আল আকসাকে হামাসের সম্পদ হতে দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন বেন গাভির।
এ ঘটনাকে নজিরবিহীন আখ্যা দেয় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। তাদের অভিযোগ, সীমা অতিক্রম করেছে তেল আবিব। তারা বলছে, আল আকসাকে সিনাগগ বানাতে চায় নেতানিয়াহু প্রশাসন।
সূত্র: রয়টার্স, আল-জাজিরা
এসএনআর/জিকেএস