ব্রাজিলে দাঙ্গা

সেনাপ্রধানকে বরখাস্ত করলেন প্রেসিডেন্ট লুলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:০৯ পিএম, ২২ জানুয়ারি ২০২৩
জেনারেল হুলিও সিজার দে আরুদা (সবুজ স্যুট পরিহিত) /ছবি: সংগৃহীত

ব্রাজিলের সেনাপ্রধান জেনারেল হুলিও সিজার দে আরুদাকে বরখাস্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট লুইস ইনাসিও লুলা দ্য সিলভা। চলতি মাসে দেশটির রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো সমর্থকদের ভয়াবহ দাঙ্গার জেরে আরুদাকে বরখাস্ত করা হলো। গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর থেকে তিনি সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করছিলেন।

এদিকে, দেশটির নতুন সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ জেনারেল টমাস রিবেইরো পাইভা। কয়েদিন আগেই পাইভা সেনা সদস্যদের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এর আগে আরও কয়েক ডজন সামরিক কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করেছেন ‍লুলা। এমনকি, দাঙ্গায় মদদ যোগানো ও রাজধানীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগে সাবেক বিচার ও জননিরাপত্তা মন্ত্রী অ্যান্ডারসন টরেসকে গ্রেফতার করা হয়।

আরও পড়ুন> ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্ট-কংগ্রেসে হামলা, সাবেক বিচারমন্ত্রী আটক

শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) ব্রাজিলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হোসে মুসিও বলেন, এখন সময় এসেছে দেশের ভবিষ্যতের দিকে নজর দেওয়ার। তাছাড়া সামরিক বাহিনী প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঙ্গায় অংশ নেয়নি।

চলতি মাসের ৮ জানুয়ারি ব্রাসিলিয়ার ওই দাঙ্গায় হাজার হাজার বলসোনারো সমর্থক একপ্রকার বিনা বাধায় রাজধানীজুড়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরে তারা একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবনে হামলা ও ভাঙচুর চালান। প্রেসিডেন্ট লুলার ধারণা, সশস্ত্র বাহিনীর অনেক সদস্যের যোগসাজশেই বিক্ষোভকারীরা দাঙ্গা করার সুযোগ পেয়েছিলেন।

আরও পড়ুন> ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট ভবনসহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনায় হামলা

সেদিনের দাঙ্গায় ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট প্যালেস, কংগ্রেস (সংসদ ভবন) ও সুপ্রিম কোর্টের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় ও বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন। দেশটির কেন্দ্রীয় পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় প্রায় দুই হাজার মানুষকে আটক করা হয়। আটকৃতদের মধ্যে এক হাজার ২০০ জনকে এখনও মুক্তি দেওয়া হয়নি।

দাঙ্গার বিষয়টি তদন্ত করছেন ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্ট। তাছাড়া, এ ঘটনায় বলসোনারোর কোনো ভূমিকা রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। কৌঁসুলিদের ধারণা, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে বোলসোনারো ওই দাঙ্গা উসকে দিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন> ব্রাজিলে দাঙ্গা: বলসোনারোর ভূমিকা তদন্ত করবে উচ্চ আদালত

অনেকের ধারণা, অক্টোবরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জালিয়াতির ভিত্তিহীন অভিযোগের কারণেই এমন নজিরবিহীন বিক্ষোভ দেখা দেয়। তবে দাঙ্গার পর থেকেই এর সঙ্গে নিজের কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা নেয় বলে দাবি করে আসছেন কট্টর ডানপন্থি বলসোনারো।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজয়ের পর বলসোনারো নির্বাচনী ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানান। তাছাড়া, চলতি মাসের শুরুতে নতুন রাষ্ট্রপতির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশ না নিয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা চলে যান ও এখনো সেখানেই অবস্থান করছেন।

সূত্র: বিবিসি

এসএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।