বিধানসভা

সুষ্ঠু-অবাধ নির্বাচনের লক্ষ্যে ত্রিপুরায় কঠোর হচ্ছে প্রশাসন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:২৫ পিএম, ১৯ জানুয়ারি ২০২৩
ছবি সংগৃহীত

ত্রিপুরা প্রতিনিধি:

বিধানসভা নির্বাচন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন জেলা সদরে প্রশাসনিক পর্যায়ে একাধিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশেষ করে আচরণবিধি নিয়ে মোট ৮টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে এদিন বৈঠক করেন নির্বাচন কর্মকর্তারা। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সব রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা কামনা করেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন কর্মকর্তা কিরণ গিত্যে।

পশ্চিম ত্রিপুরার জেলাশাসকের কনফারেন্স হলে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্য নির্বাচন কর্মকর্তা জানান, রাজ্যের ৮টি জেলার নির্বাচন সংক্রান্ত সব ঘটনাই কমিশনের নজরে রয়েছে। সার্বিকভাবে এসব বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপও গ্রহণ করা হচ্ছে। কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে সেজন্য কমিশন সব ধরণের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বলেও দাবি করেন তিনি। এ সময় পশ্চিম ত্রিপুরার জেলাশাসক ড. দেবপ্রিয় বর্ধন, পুলিশ সুপার শঙ্কর দেবনাথও উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন> ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা

কিরণ গিত্যে বলেন, বুধবার নির্বাচন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই গোটা রাজ্যে আদর্শ আচরণবিধি চালু করা হয়েছে। মূলত এসব বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করতেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা হয়।

তিনি জানান, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন সম্পন্ন করার লক্ষ্যে শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) থেকেই রাজ্যে আসবেন নির্বাচনের কাজে নিযুক্ত পর্যবেক্ষকগণ।

তিন বলেন, নির্বাচন শুরু হওয়ার আগেই সহিংসতা মুক্ত হবে রাজ্য। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের এ ব্যাপারে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। বিনা অনুমতিতে কোনো রাজনৈতিক দলই যাতে কোনো কর্মসূচি করতে না যান তাও জানিয়ে রাখেন তিনি।

আরও পড়ুন> কম খরচে ত্রিপুরা রাজ্য ভ্রমণ

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজ্যে আধা সামরিক বাহিনী থেকে শুরু করে অন্যান্য বাহিনী মজুত রয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আগাম অনুমতি নিলে তাতে প্রশাসনই নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে। তবে অনুমতির ক্ষেত্রে যারা আগে আসবে তাদের সুযোগ প্রদানে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।

এমএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।