পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতাদের দৌড়ঝাপ
ধৃমল দও কলকাতা
চলতি বছরেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। এরপরে লোকসভা। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেস ‘দুয়ারে দূত’ প্রকল্প নিয়ে গ্রামে গ্রামে যাচ্ছেন। এর মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের সমস্যা ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প ঠিকভাবে হচ্ছে কি না তা তদারকি করা।
ঠিক একইভাবে কেন্দ্রীয় ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টি রাজ্যে যেসব প্রকল্পে অর্থ সাহায্য করে তা সঠিকখাতে ব্যবহার হচ্ছে কি না তাই দেখার জন্য একটি দল পাঠিয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। তারা বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকায় ঘুরে দেখছেন প্রকল্পের অর্থ ঠিকভাবে ব্যবহার হচ্ছে কি না।
দলে রয়েছেন ভারতের উত্তরপ্রদেশের ফতেপুরের সংসদ সদস্য কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্যি রঞ্জন জ্যোতি। বুধবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সংলগ্ন গৌরীপুর কালীবাড়ীতে পুজো দিয়ে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবরায় গ্রামবাসীদের সঙ্গে দেখা করতে যান তিনি।
সাধ্যি রঞ্জন জ্যোতি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে মাধ্যমিক পরীক্ষার টেস্ট পেপারে ‘আজাদ কাশ্মীর’ শব্দ বন্ধন উল্লেখ করার পর যে বিতর্ক উঠেছে তা দেশের জন্য দুর্ভাগ্যজনক।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এইভাবে কেন্দ্রীয় কমিটির দল ঘনঘন রাজ্যে আসার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা সমালোচনা করছেন।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী বলেছেন, কেন্দ্রীয় দল বাংলার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
যোশীমঠের মত দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বহু বছর ধরেই আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন খনি এলাকার শহর আসানসোল। সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে যোশীমঠের পর্যবেক্ষণের কাজ শুরু করা দরকার বলে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি প্রস্তাব রেখেছেন।
এ ব্যাপরে সাধ্যি রঞ্জন জ্যোতি বলেন, আমার মনে হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার যথেষ্ট দায়িত্ব সহকারে কাজ করছে। আমরা প্রত্যেকেই আশা করি কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার একত্রে মিলেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। কোনো সমস্যা হলে কেন্দ্র ও রাজ্য মিলে সমস্যা মোকাবেলা করবে।
এমএসএম