নেপালে প্লেন বিধ্বস্ত
এ পর্যন্ত ৭১ জনের মরদেহ উদ্ধার
নেপালের পোখারায় প্লেন বিধ্বস্তের পর এখন পর্যন্ত ৭১ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। ওই প্লেনটিতে আরোহী ছিলেন ৭২ জন। মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) আরও একজনের লাশ উদ্ধার করা হয় সেতি নদীর ঘাট থেকে।
কাস্কি জেলার সহকারী মুখ্য জেলা কর্মকর্তা অনিল কুমার শাহী জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বিকালে আরও একজনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন> ৭২ আরোহী নিয়ে নেপালে প্লেন বিধ্বস্ত, নিহত ৪০
তিনি আরও জানান, বুধবারও (১৮ জানুয়ারি) উদ্ধার অভিযান চলবে।
কাঠমান্ডু থেকে দুই-ইঞ্জিন বিশিষ্ট এটিআর ৭২ প্লেনটি ৭২ জন আরোহী নিয়ে উড্ডয়ন করেছিল রোববার। দেশটির প্রধান পর্যটন স্থান পোখারায় অবতরণের কিছুক্ষণ আগে বিধ্বস্ত হয় এটি। এখন পর্যন্ত ৭১ জনের মরদেহ উদ্ধার হলো। নিহতদের মধ্যে ৩ জন নবজাতক, আরও ৩ শিশু ও ৬২ জন প্রাপ্তবয়স্ক রয়েছেন।
নেপালের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, যাত্রীদের মধ্যে ৫৩ জন নেপালি, পাঁচজন ভারতীয়, চারজন রাশিয়ান, একজন আইরিশ, একজন অস্ট্রেলিয়ান, একজন আর্জেন্টিনার, দুজন কোরিয়ান এবং একজন ফরাসি ছিলেন।
আরও পড়ুন> নেপালে প্লেন দুর্ঘটনার ঠিক আগ মুহূর্তের ভিডিও ভাইরাল
এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিরাপত্তার বিষয়গুলো পরীক্ষা করার দায়িত্বে যারা থাকেন তারা সমস্ত এটিআর-৪২ এবং এটিআর-৭২ প্লেন পরীক্ষা করেছেন। সোমবার সন্ধ্যায় এক প্রেস বিবৃতিতে তারা জানায়, ‘পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সময় বিমানটিতে কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি পাওয়া যায়নি।’
গত সোমবার দুপুরে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মুখপাত্র প্রেম নাথ ঠাকুর নিশ্চিত করেন, প্লেনটির ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার করা হয়েছে।নেপালের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র জগন্নাথ নিরাউলা জানান, ব্ল্যাক বক্সটি সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরে এটি কাঠমান্ডুতে তদন্ত দলের কাছে পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন> প্রত্যক্ষদর্শীদের চোখে নেপালের ভয়াবহ প্লেন দুর্ঘটনা
রোববার (১৫ জানুয়ারি) ঘটনার দিন বিকালে মন্ত্রিসভার বৈঠকে দুর্ঘটনা তদন্তে সংস্কৃতি, পর্যটন ও বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব নগেন্দ্র ঘিমিরের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়।
এদিকে, ইয়েতি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ৬৯১-এর তদন্তে সহায়তা করার জন্য বিদেশি বিশেষজ্ঞদের একটি দল মঙ্গলবার কাঠমান্ডুতে পৌঁছেছেন। মোট ১১ জনের এই বিশেষজ্ঞ দল ঘটনার তদন্তে সহায়তা করবে। তাদের মধ্যে চারজনই ব্যুরো অব ইনকোয়ারি অ্যান্ড অ্যানালাইসিস ফর সিভিল এভিয়েশন সেফটির সদস্য (বিইএ)। এটি ফরাসি সরকারের একটি সংস্থা।
সূত্র: দ্য কাঠমান্ডু পোস্ট
এসএনআর/এমএস