মকর সংক্রান্তির দিনেও শীতের দেখা নেই কলকাতায়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:৫৬ পিএম, ১৫ জানুয়ারি ২০২৩
ফাইল ছবি

ধৃমল দত্ত, কলকাতা

পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে আটকে রয়েছে উত্তরের হাওয়া। সেই কারণেই রোববার (১৫ জানুয়ারি) মকর সংক্রান্তির দিনে তাপমাত্রার পারদ চড়েছে কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী শহরাঞ্চলে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, গত ১০ বছরে মকর সংক্রান্তির দিনে শীতের এমন রূপবদল দেখা যায়নি। শহর থেকে গ্রাম সব জায়গায় তাপমাত্রা ঊর্ধ্বমুখী।

তবে তাপমাত্রা বাড়লেও সকাল ও রাতে ঘন কুয়াশার চাদরে ছেয়ে থাকছে কলকাতা। একই দৃশ্য পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোর। ঘন কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা ৫০ মিটারে নেমে যাওয়ায় সামান্য ব্যাঘাত ঘটে নৌ, বিমান ও ট্রেন চলাচলে।

jagonews24

রোববার (১৫ জানুয়ারি) কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী শহরাঞ্চলের তাপমাত্রা ছিল ১৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি, যা স্বাভাবিকের তুলনায় পাঁচ ডিগ্রি বেশি। এর আগে ২০১৫ সালে মকর সংক্রান্তির দিনে তাপমাত্রা ছিল ১৯ দশমিক ১ ডিগ্রি ও ২০০১ সালে ছিল ১৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি ।

আরও পড়ুন> ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে হাড় কাঁপানো শীত!

কলকাতার আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের কর্মকর্তা গণেশ চন্দ্র দাস জানান, বঙ্গোপসাগরে শক্তিশালী উচ্চচাপ বলয় তৈরি হয়েছে। তাই উত্তরের হওয়া আটকে রয়েছে। আপাতত এ পরিস্থিতি কিছুদিন চলবে। তাছাড়া, বুধবার (১৭ জানুয়ারি) হালকা বৃষ্টি হতে পারে।

তিনি আরও জানান, সোমবার (১৬ জানুয়ারি) থেকে তাপমাত্রা হয়তো দুই-এক ডিগ্রি কমবে। তবে এতে খুশি হওয়ার কোনো কারণ নেই, কারণ এ তাপামাত্রা স্বাভাবিকের থেকে বেশি। তবে তাপমাত্রার এ সামান্য পতন উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে বেশি অনুভব করা যাবে।

আরও পড়ুন: কেমন হবে বরফে ঢাকা দিল্লি-কলকাতা?

প্রাতঃভ্রমণ করতে আসা বাপি দে নামের এক ব্যক্তি বলেন, বিগত দিনের থেকে আজকের ঠাণ্ডাটা অনেকটাই কম। ভেবেছিলাম, ২০২৩ সালের মকর সংক্রান্তিতে কনকনে ঠাণ্ডা পড়বে, কিন্তু তা আর হলো না। তবে, কুয়াশা একটু বেশি পড়েছে।

প্রাতঃভ্রমণে বের হওয়া আরেক ব্যক্তি সোমনাথ সরকার বলেন, মকর সংক্রান্তির দিনে যতটা ঠাণ্ডা পড়বে, ভেবেছিলাম তেমনটা হয়নি। ঠাণ্ডার চেয়ে কুয়াশা পড়ছে বেশি। কয়েকদিন আগে বেশ ঠাণ্ডা ছিল। কিন্তু শনিবার (১৪ জানুয়ারি) থেকে ঠাণ্ডা কমেছে।

এসএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।