চীনে করোনাভাইরাস
এক মাসে প্রায় ৬০ হাজার মৃত্যু, শিগগির গ্রামে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা
‘জিরো কোভিড নীতি’ বাতিলের পর গত বছরের ৮ ডিসেম্বর থেকে এ বছরের ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রায় ৬০ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। শনিবার (১৪ জানুয়ারি) চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন প্রথমবারের মতো করোনায় এ প্রাণহানির তথ্য জানায়।
দেশটির স্বাস্থ্য কমিশনের চিকিৎসাবিষয়ক বিভাগের পরিচালক জিয়াও ইয়াহুই বলেন, চীনের হাসপাতালগুলোতে এক মাসের কিছু সময়ের মধ্যে করোনা সংক্রমণজনিত জটিলতায় ৫৯ হাজার ৯৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে শুধু করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫ হাজার ৫০৩ জন।
চীনে ৯০ কোটি মানুষ করোনায় আক্রান্ত
তিনি আরও জানান, একই সময়ে করোনায় আক্রান্তের সঙ্গে ক্যানসার বা কার্ডিও ভাসকুলার জাতীয় রোগে আক্রান্ত আরও ৫৪ হাজার ৪৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। যারা মারা গেছেন তাদের গড় বয়স ৮০ দশমিক ৩ বছর। মৃতদের মধ্যে ৯০ শতাংশের বয়স ৬৫ বছর কিংবা তার বেশি।
এর আগে চীনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশটিতে প্রায় ৯০ কোটি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, দেশটির মোট জনসংখ্যার ৬৪ শতাংশ।
করোনার দৈনিক সংক্রমণের তথ্য আর প্রকাশ করবে না চীন
এদিকে চীনের এক শীর্ষ মহামারি বিশেষজ্ঞ শঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, দেশটিতে করোনার সর্বোচ্চ সংক্রমণ আরও দুই থেকে তিন মাস পর্যন্ত স্থায়ী হবে। এ সময়ের মধ্যে প্রাণঘাতী এ ভাইরাস শহর থেকে গ্রাম পর্যায়েও ছড়িয়ে পড়বে।
ধারণা করা হচ্ছে, ২১ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া চান্দ্র নববর্ষের ছুটিতে চীনের বিপুলসংখ্যক মানুষ বাড়ি যাওয়া শুরু করবেন। তখন বিস্তৃত গ্রামাঞ্চলেও এ ভাইরাস খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে।
সাধারণ মানুষের ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে এ বছরের ৭ ডিসেম্বর করোনাসংক্রান্ত কঠোর বিধি-নিষেধ তুলে নিলেও, এ সময়ের পরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে চীনে কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
চীনে লকডাউন তুলে নেওয়ায় যেভাবে চাপে পড়বে বিশ্ব অর্থনীতি
সর্বশেষ গত ৩ ডিসেম্বর প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজন মারা যাওয়ার কথা জানায় দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তবে বিধি-নিষেধ শিথিল করার পর সংক্রমণ ও মৃত্যু হার হু হু করে বাড়তে শুরু করে।
সূত্র: আল-জাজিরা, রয়টার্স
এসএএইচ