সৌদি সফরে পাকিস্তান সেনাপ্রধান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:০১ পিএম, ০৮ জানুয়ারি ২০২৩

দেশের অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনির সৌদি আরব সফরে গেছেন। সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রীসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন আসিম মনির। সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিই তার প্রথম বিদেশ সফর।

জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনির গত নভেম্বরে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার প্রথম বিদেশ সফরে ঘনিষ্ঠ প্রতিরক্ষা ও অর্থনৈতিক মিত্র সৌদি সফর করে পূর্বসূরিদের পদাঙ্ক অনুসরণ করেছেন তিনি। এক সপ্তাহের সফরে তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতেও যাবেন বলে জানা গেছে।

গত বুধবার পাকিস্তানের আইএসপিআর এক বিবৃতিতে জানায়, পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়, সামরিক সহযোগিতা ও দ্বিপক্ষীয় ইস্যুতে আলোচনা করতে সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির ভ্রাতৃপ্রতীম দুদেশের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার রাজধানী রিয়াদে জেনারেল মুনির সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রিন্স খালিদ বিন সালমান বিন আবদুল আজিজের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছেন।

বৈঠক শেষে এক টুইটারে সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রিন্স খালিদ বিন সালমান বলেন, ‘আমরা ভ্রাতৃপ্রতীম দেশের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারত্ব, দ্বিপক্ষীয় সামরিক ও প্রতিরক্ষা সম্পর্ক পর্যালোচনা ও সহযোগিতা জোরদারের উপায় নিয়ে আলোচনা করেছি।’

জেনারেল মুনিরের সফরের খবর এমন এক সময় এলো, যখন পাকিস্তান গভীর অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি। দেশটির রিজার্ভ এখন ৬ বিলিয়ন ডলারের চেয়ে কম এবং ২০১৪ সালের পর তা সর্বনিম্ন পর্যায়ে এসেছে। দেশটির মূল্যস্ফীতি এখন আকাশচুম্বী। গত বছরে বন্যার কারণে দেশটির ৩০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে।

এ সপ্তাহের শুরুতে পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার সংবাদ সম্মেলনে আশা প্রকাশ করেন সৌদি আরব অর্থনীতিতে কিছুটা স্বস্তি দিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে তার আমানত রাখবে।

বৈদেশিক রিজার্ভ ও ঋণখেলাপি থেকে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ইসলামাবাদের সৌদি অর্থের প্রয়োজন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মেয়াদে রিয়াদ ২০২১ সালের নভেম্বরে ৩ বিলিয়ন জমা করেছিল। গত মাসে দেশটি তহবিলের মেয়াদ বাড়িয়েছে।

গত এপ্রিলে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ অর্থনৈতিক সহায়তা ও বিনিয়োগের জন্য উপসাগরীয় কয়েকটি দেশ ভ্রমণ করেন। গত বছরের এপ্রিল থেকে নভেম্বরের মধ্যে সরকারি তথ্য অনুযায়ী, সৌদি আরব তেল আমদানির জন্য ৯০০ মিলিয়ন ডলার এবং ৫০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা দিয়েছে। গত আগস্টে শরিফের দোহা সফরের সময় কাতার ৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেয়।

ইসলামাবাদভিত্তিক বিশ্লেষক মো. ফয়সাল মনে করেন জেনারেল মুনিরের সফরকে অবশ্যই অর্থনীতির দিক থেকে বিবেচনা করা উচিত।

সূত্র: আল-জাজিরা

এসএনআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।