আল-আকসার ইমামকে তুলে নিয়ে ইসরায়েলি গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:০২ পিএম, ০৩ জানুয়ারি ২০২৩
ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র আল-আকসা মসজিদের ইমাম শেখ একরিমা সাবরিকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইসরায়েলের গোয়েন্দারা। সোমবার (২ জানুয়ারি) এমন তথ্য জানায় মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহ।

এক প্রতিবেদনে ইমাম শেখ একরিমা সাবরির পরিবারের এক সদস্য নাম না প্রকাশের শর্তে সংবাদ সংস্থা আনাদোলুকে বলেন, পূর্ব জেরুজালেমের আল-সুহানেহতে অবস্থিত ইমামের বাড়িতে অভিযান চালায় ইসরায়েলি সেনারা। কোনো কারণ না দেখিয়েই তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।

এদিকে, আল-আকসার ইমামকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েল।

ইমাম শেখ একরিমা সাবরি ইসরায়েলের একজন কট্টর সমালোচক। ইসরায়েলি দখলদারদের সমালোচনা করে প্রায়ই তিনি বিভিন্ন বক্তব্য দেন। এ কারণে আগেও তাকে একাধিকবার আটক ও জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয়েছে।

ইমাম সাবরি ১৯৯৪ সাল থেকে শুরু করে ২০০৬ সাল পর্যন্ত জেরুজালেম ও ফিলিস্তিনি অঞ্চলগুলোর মুফতির দায়িত্ব পালন করেন।

মক্কা-মদিনার পর আল-আকসা মসজিদকে মুসলিম বিশ্বের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে স্থানটিকে ইহুদি ধর্মাবলম্বীরা ‘টেম্পল মাউন্ট’ হিসেবে অভিহিত করে থাকে। তাদের দাবি, প্রাচীন যুগে এখানে দুটি ইহুদি ধর্মীয় উপাসনালয় ছিল।

আল-আকসা মসজিদটি পূর্ব জেরুজালেমে অবস্থিত। ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর পূর্ব জেরুজালেম দখল করে ইসরায়েলি দখলদাররা। পরে ১৯৮০ সালে অবৈধভাবে পুরো শহরটি অধিগ্রহণ করে তারা। যদিও এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিকভাবে কোনো দেশই জেরুজালেমকে ইসরায়েলের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি।

এদিকে জাতিসংঘের তথ্য বলছে, ২০০৬ সালের পর থেকে ২০২২ সালটিই ফিলিস্তিনিদের জন্য সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী বছর।

ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র আক্রমণ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তাদের ওপর ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের আক্রমণের প্রবণতা সমান্তরালে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই ফিলিস্তিনের বিভিন্ন শহর ও গ্রামে সামরিক অভিযান ও হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।

সূত্র: ডেইলি সাবাহ
এসএএইচ/কেএএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।