ওয়েব সিরিজ দেখার জন্য অফিসে ছুটির আবেদন!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:১১ পিএম, ২৭ ডিসেম্বর ২০২২
প্রতীকী ছবি

আজকাল কর্মজীবন ও ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে গিয়ে হিমশিম খান অনেকে। অফিসে কাজের চাপে ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ জলাঞ্জলি দিতে হয় অহরহ। এতে শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা যেমন বাড়ছে, তেমনি কাজের গুণমানও কমছে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, কাজের বাইরে ব্যক্তিগত জীবনে প্রত্যেকেরই আলাদা সময় রাখা জরুরি। কিন্তু চাইলেই কি সবসময় তা পাওয়া যায়? অবশ্য ছুটি মঞ্জুর হোক বা না হোক, কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন তো করতেই পারেন। ঠিক তেমনটিই করেছেন ভারতের এক ব্যক্তি। পছন্দের ওয়েব সিরিজ দেখার জন্য অফিসের বসের কাছে তার ছুটির আবেদন ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে জানা যায়, ওই ব্যক্তির নাম অভিষেক কুমার। তিনি সম্প্রতি পছন্দের ওয়েব সিরিজ দেখার জন্য বসের কাছে ছুটি চেয়ে ই-মেইল পাঠান। এরপর সেই ই-মেইলের একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করেন টুইটারে।

পোস্টের ক্যাপশনে অভিষেক লিখেছেন, ‘ছুটি স্বাভাবিক করুন। আপনি কেবল অসুস্থ হলে কিংবা আপনাকে ছাড়া সম্ভব নয় এমন কাজের জন্যই ছুটি নেবেন, তা নয়।’

তেমন কোনো জরুরি কাজ নয়, বরং পছন্দের ওয়েব সিরিজ দেখার জন্যই ছুটি নিতে চান সেটি স্পষ্টভাবে ই-মেইলে উল্লেখ করেছেন ওই যুবক। ছুটির আবেদনে অভিষেক লিখেছেন, বাসায় বসে পিচার্স-সিজন ২ একটানা দেখার জন্য ২৩ ডিসেম্বরে একদিনের ছুটি দরকার। এটি তার জন্য আনুষ্ঠানিক আবেদন।’

তবে সাপ্তাহিক ছুটির দিনও তো তিনি সিরিজ দেখতে পারতেন! এ প্রসঙ্গে অভিষেকের বক্তব্য, তিনি ছুটির দিন ঘুমের ব্যাঘাত ঘটিয়ে সারারাত ওয়েব সিরিজ দেখতে চান না, কিংবা পরের সপ্তাহে ছুটির জন্য অপেক্ষা করতেও রাজি নন। সে জন্যই একদিনের ‘অতি-আবশ্যক ছুটি’ দরকার।

২৩ ডিসেম্বর ছুটি নিয়ে পরের দিন, অর্থাৎ ২৪ তারিখ থেকে তিনি তার ‘গবেষণা ও পর্যবেক্ষণের’ নিয়মিত কাজে যোগ দেবেন বলে বসকে জানিয়েছেন অভিষেক।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ারের পরপরই দ্রুত ভাইরাল হয় তার এই পোস্ট। এতে এ পর্যন্ত প্রায় তিন লাখ মানুষ লাইক দিয়েছেন। মন্তব্যে নিজেদের অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন অনেকে।

একজন লিখেছেন, (ছুটির) কারণ কেন উল্লেখ করতে হবে? ছুটি আপনার অধিকার। কেন ছুটি দরকার তা জানতে চাওয়ার অধিকার নেই ম্যানেজারের।

আরেক ব্যক্তি লিখেছেন, জানি না আপনি কার সঙ্গে কাজ করেন। কিন্তু আমার ১৯ বছরের অভিজ্ঞতায় বলছি, আমি শুধু ছুটির কথা জানাই, কখনো তাদের অনুমতি চাই না। হ্যাঁ, এমন কিছু দিন গেছে যখন ম্যানেজার আমাদের জরুরি পরিস্থিতিতে ফিরে আসার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছেন। যাই হোক, ম্যানেজাররা ১৫ দিনের, এমনকি তার চেয়ে বেশি ছুটি নিয়মিত অনুমোদন দিয়ে থাকেন।

সূত্র: এনডিটিভি
কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।