নরওয়ের লেকে মধ্যযুগীয় জাহাজের সন্ধান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:০৮ পিএম, ১২ ডিসেম্বর ২০২২
ছবি: সংগৃহীত

নরওয়ের সবচেয়ে বড় লেকের নাম এমজোসা। লেকটির তলদেশে শত শত বছর আগের একটি জাহাজের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। জাহাজটি আবিষ্কারের ফলে লেকের একটি সামদ্রিক ইতিহাস উন্মোচিত হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, জাহাজটি ১৩০০ থেকে ১৮০০ সালের দিকের।

এমজোসায় একটি প্রকল্প সম্পন্ন করতে গিয়ে গবেষকরা জাহাজটির ধ্বংসাবশেষের খোঁজ পায়। প্রকল্পের লক্ষ্য উচ্চ-রেজোলিউশন সোনার প্রযুক্তি ব্যবহার করে ১৪০ বর্গমাইল (৩৬৩ বর্গকিলোমিটার) লেকের মানচিত্র তৈরি করা।

নরওয়েজিয়ান ডিফেন্স রিসার্চ এস্টাব্লিশমেন্ট বেশ কয়েকটি দূরবর্তী যানবাহন চালানোর দুই বছর পর মিশনের নেতৃত্ব দেয়। লেকের যেসব এলাকায় কোনো এক সময় সামরিক সরঞ্জাম ফেলা হয়েছিল সেসব এলাকা পরিদর্শন করা হয়।

নরওয়েজিয়ান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, প্রায় এক লাখ মানুষের পানির উৎস হচ্ছে লেকটি। তাই সামরিক সরঞ্জামের উপস্থিতি এক ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করেছিল। মূলত একটি জরিপ চালানোর সময় জাহাজটির সন্ধান পাওয়া যায়।

নরওয়েজিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়টির সামুদ্রিক প্রত্নতত্ত্বের একজন সিনিয়র গবেষক ও মিশনের প্রধান তদন্তকারী ওইভিন্দ ওডেগার্ড বলেছেন, আমার আগেই ধারণা ছিল যখন ডাম্প করা সামরিক সরঞ্জামের মানচিত্র তৈরি করছিলাম তখন জাহাজের ধ্বংসাবশেষও পাওয়া যেতে পারে এবং ঠিক তাই হলো।

জাহাজটির ধ্বংসাবশেষ এক হাজার ৩৫০ ফুট বা ৪১১ মিটার গভীরতায় পাওয়া যায়। সোনার চিত্রে এটি ধরা পড়ে। এটি এমন একটি সিস্টেম যা পানির তলদেশের নীচের এলাকা শনাক্ত ও পরিমাপ করতে শব্দ স্পন্দন ব্যবহার করে। ছবিতে দেখা গেছে, জাহাজটির দৈর্ঘ্য ৩৩ ফুট বা ১০ মিটার।

এমএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।