ইয়েমেন যুদ্ধে ১১ হাজারের বেশি শিশু নিহত বা পঙ্গু হয়: জাতিসংঘ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৫৯ এএম, ১২ ডিসেম্বর ২০২২

আট বছর আগে শুরু হওয়া ইয়েমেন যুদ্ধে ১১ হাজারের বেশি শিশু নিহত বা পঙ্গু হয়েছে। সোমবার জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে এ তথ্য। জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ বলছে, বিশ্বে সবচেয়ে মানবিক সংকটে থাকা দেশটিতে নিহতের এই প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল বলেছেন, ‘হাজার হাজার শিশু তাদের জীবন হারিয়েছে যুদ্ধে, আরও কয়েক লাখ শিশু স্বাস্থ্যগত কারণে প্রতিরোধযোগ্য রোগ বা অনাহারে মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে।’

ইউনিসেফ বলছে, ‘২২ লাখের মতো শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে দেশটিতে। তাদের মধ্যে এক চতুর্থাংশের বয়স পাঁচ বছরের কম। বেশিরভাগই কলেরা, হাম এবং অন্যান্য প্রতিরোধযোগ্য রোগের চরম ঝুঁকিতে রয়েছে।’

২০১৪ সাল থেকে গত আট বছর ধরে চলা যুদ্ধের এক পক্ষে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ও ইয়েমেন সরকার। অপরপক্ষে ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা।

যুদ্ধে সরাসরি অংশ নিয়ে মারা গেছে শিশুরাও। এর আগে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ প্যানেল জানিয়েছিল, হুতি বিদ্রোহীদের নিয়োগ দেওয়া ১ হাজার ৪০৬ শিশুর একটি তালিকা পেয়েছে তারা। এসব শিশু যুদ্ধক্ষেত্রে নিহত হয়।

তা ছাড়া পরোক্ষভাবে অনিরাপদ পানীয় জল, রোগের প্রাদুর্ভাব, ক্ষুধা ও অন্যান্য গুরুতর প্রভাবের ফলে হাজার হাজার মানুষ মারা গেছে দেশটিতে।

সংস্থাটির সর্বশেষ প্রকাশিত রিপোর্টে, ২০১৫ সালের মার্চ থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৩ হাজার ৭৭৪ জন শিশুর মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়।

জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় একটি যুদ্ধবিরতি গত অক্টোবর পর্যন্ত ছয় মাস স্থায়ী হয়। যদিও সেই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আর বাড়েনি। ইউনিসেফ বলছে, সে সময় থেকে আরও ৬২ শিশু হতাহত হয়।

জাতিসংঘের সংস্থাটি আরও বলছে, কয়েক বছর ধরে যুদ্ধে ৩ হাজার ৯০৪ জন ছেলে শিশুকে যুদ্ধে নেওয়া হয়েছে এবং ৯০ জনের বেশি মেয়ে শিশুকে চেকপয়েন্টে কাজ করাসহ বিভিন্ন ভূমিকা পালন করার জন্য নিযুক্ত করা হয়।

ইউনিসেফ দেশটির মানবিক সংকট মোকাবিলায় ৪৮৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন বা ৪৮ কোটি ৪৪ লাখ ডলার সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে।

সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক রাসেল বলেন, ‘জরুরিভিত্তিতে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ নবায়ন করা ইতিবাচক প্রথম পদক্ষেপ হবে। মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর জন্য সহায়ক হবে এটি। শুধু টেকসই শান্তিই যুদ্ধবিধ্বস্ত পরিবারগুলোকে তাদের জীবন পুনরায় শুরু করা ও ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনার সুযোগ করে দেবে।’

সূত্র: ফ্রান্স২৪ ডট কম

এসএনআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।