ব্রাজিল ম্যাচের আগে ক্রোয়েশিয়ার সেই স্বল্পবসনা মডেলকে বাধা
কাতার বিশ্বকাপে স্বল্পবসনা উপস্থিতি দিয়ে সম্প্রতি আলোচনায় এসেছেন সাবেক ‘মিস ক্রোয়েশিয়া’ ইভানা নল। মুসলিমপ্রধান দেশ কাতারের নীতি-নৈতিকতাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে খোলামেলা পোশাক পরে নিয়মিত স্টেডিয়ামে হাজির হচ্ছেন তিনি। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) ব্রাজিল-ক্রোয়েশিয়ার মধ্যকার কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচেও একইভাবে গ্যালারিতে উপস্থিত হয়েছিলেন ইভানা। এদিন যথারীতি দলকে উৎসহ জুগিয়েছেন, দেখেছেন পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে ক্রোয়েট দল সেমিফাইনালের ওঠার দৃশ্য।
View this post on Instagram
তবে ম্যাচ শেষে ৩০ বছর বয়সী এ মডেল অভিযোগ করেছেন, গ্যালারিতে কাতারের ‘রূঢ়’ নিরাপত্তারক্ষীরা তাকে অন্য দর্শকদের সঙ্গে ছবি তুলতে বাধা দিয়েছেন।
ক্রোয়েশিয়ার আগের ম্যাচের দিনগুলোতে লাল-সাদা বিকিনি ও আঁটসাঁট লেগিন্স বা শর্টস পরা ইভানাকে কাতারি দর্শকদের সঙ্গে সেলফি তুলতে দেখা গেছে। দর্শকরাও তার ছবি তুলছেন, এমন দৃশ্য ধরা পড়েছে ক্যামেরায়।
View this post on Instagram
অবশ্য মোহাম্মদ হাসান আল-জেফাইরি নামে কাতারের এক খ্যাতনামা উদ্যোক্তা পরে দাবি করেন, কেবল ওই নারীর পোশাক নিয়ে আপত্তি জানানোর জন্যই পুরুষেরা দূরে সরে যাচ্ছিলেন।
তবে ইভানা নল অভিযোগ করেছেন, কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ শুরুর আগে এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামের নিরাপত্তারক্ষীরা তাকে ভক্তদের সঙ্গে ছবি তুলতে নিষেধ করেন।
গ্যালারিতে ইভানার সঙ্গে কথা বলছেন কাতারের নিরাপত্তারক্ষীরা। ছবি সংগৃহীত
তিনি জার্মান ট্যাবলয়েড বিল্ডকে বলেছেন, তারা আমার সঙ্গে ভক্তদের ছবি তুলতে বা আমাকে রেলিংয়ের নিচে ছবির জন্য পোজ দিতে বাধা দেয়। তখন আমি তাদের জিজ্ঞাসা করলাম, তারা এত রূঢ় কেন?
ইনস্টাগ্রামে প্রায় ১৮ লাখ অনুসারী রয়েছে ইভানা নলের। সেখানে নিয়মিত স্বল্পবসনা ছবি ও ভিডিও পোস্ট করেন তিনি। তবে এ ধরনের পোশাক কাতারের প্রচলিত শালীনতা আইনের বিরোধী। এ আইনে নারীদের কাঁধ ঢেকে রাখতে এবং ছোট স্কার্ট পরিহার করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
গ্যালারিতে বাধার মুখে ইভানা নল। ছবি সংগৃহীত
যদিও ইভানা গত সপ্তাহে দাবি করেছেন, কাতারের পরিবেশ-পরিস্থিতি দারুণ লাগছে তার কাছে। কেউ তাকে পর্দা করতে বলেনি। শুধু টুইটারে একজন নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন।
তবে ক্রোয়েট মডেলের দাবি, ওই ব্যক্তি কেবল মনোযোগ আকর্ষণের জন্যই তার পোশাকের সমালোচনা করেছেন।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
কেএএ/