হিজাব ইস্যুতে বিক্ষোভে নিহত ২০০, স্বীকার করলো ইরান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:২২ এএম, ০৪ ডিসেম্বর ২০২২
ছবি: সংগৃহীত

হিজাব বিতর্কের জেরে ইরানে পুলিশি হেফাজতে মাহসা আমিনি নামে এক তরুণীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে দুশো জনের বেশি নিহত হয়েছেন বলে স্বীকার করলো ইরান।

ইরানের একটি নিরাপত্তা সংস্থা দেশজুড়ে বিক্ষোভের জেরে গত সেপ্টেম্বর থেকে ২০০ মানুষ নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে। শনিবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে, ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা পরিষদ দাঙ্গার পর প্রথম নিহত হওয়ার এই সংখ্যার কথা জানালো।

এতে আরো বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য, যারা ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে’ জড়িত, ‘বিদেশি মদদদাতা সংগঠন’ এর সদস্যরা রয়েছে।

নিরাপত্তা সংস্থাটি কতজন নিরীহ মানুষ মারা গেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে তা খোলাসা করেনি।

ইরানের ইসলামী রেভুল্যশনারি গার্ড-এর শীর্ষ জেনারেল আমির আলী হাজিজাদেহ বলেছেন, সম্প্রতি দাঙ্গায় ৩০০ জন ‘শহীদ ও নিহত’ হয়েছে। এর পরপরই ইরানের কর্তৃপক্ষ এ তথ্য প্রকাশ করলো।

তবে বিদেশি মানবাধিকারভিত্তিক সংগঠনের হিসাবে নিহতের সংখ্যা চারশর বেশি।

ইরানে জনসম্মুখে নারীদের বাধ্যতামূলক হিজাব পরাসহ কঠোর পর্দা পালনের নিয়ম রয়েছে। এই বিধিগুলো তদারক করার জন্য রয়েছে দেশটির ‘নৈতিকতাবিষয়ক’ পুলিশ। এই পুলিশের একটি দল, গত ১৩ সেপ্টেম্বর ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনিকে তেহরান থেকে আটক করে। আমিনি তার পরিবারের সঙ্গে তেহরানে ঘুরতে গিয়েছিলেন। আটকের পর মাহসা আমিনি থানায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

গত ১৬ সেপ্টেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় মাহসা আমিনির। এ ঘটনার প্রতিবাদে ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয়। আন্দোলন-বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে ইরানের ডজনখানেকের বেশি শহরে।

ইরানের অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল, যুক্তরাজ্য ও সৌদি আরব এই আন্দোলনের পেছনে কলকাঠি নাড়ছে। শনিবারের ওই বিবৃতিতেও একই অভিযোগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

সূত্র: আল-জাজিরা

এসএনআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।