২০২২ সালে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহরের তালিকা
চলতি বছর বিশ্বজুড়ে জীবনযাত্রার ব্যয় লাফিয়ে বেড়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে বড় বড় শহরগুলোতে বসবাস করা নাগরিকরা। ২০২২ সালের জন্য কস্ট অব লিভিং ইন্ডেক্স বা জীবনযাত্রার ব্যয় নিয়ে তথ্য প্রকাশ করেছে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। এতে দেখা গেছে, চলতি বছর গড়ে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে আট দশমিক এক শতাংশ। মূলত করোনা মহামারি ও পরে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
ইকোনমিস্ট ইউনিটের বিশ্বব্যাপী জীবনযাত্রার ব্যয়বিষয়ক প্রধান উপাসনা দত্ত এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ইউক্রেনে হামলার পর রাশিয়ার ওপর পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞা, চীনের কঠোর শূন্য করোনা নীতি বিশ্বজুড়ের সরবরাহ ব্যবস্থায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। তাছাড়া মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো সুদের হার বাড়িয়েছে, পরিবর্তন এসেছে বিনিময় হারেও, যা মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়াতে অবদান রেখেছে।
তিনি বলেন, জরিপে এ বছরের একটি সার্বিক চিত্র উঠে এসেছে। এতে দেখা গেছে, বিশ্বের ১৭২টি শহরেই গড় মূল্য বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে পেট্রোলের দাম। একই সঙ্গে শহরগুলোতে খাদ্য, ইউটিলিটি ও অন্যান্য পণ্যের দামও বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে।
বসবাসের জন্য ব্যয়বহুল শহরগুলোর তালিকায় বড় পরিবর্তন এসেছে ইউরোপে। তালিকায় নিচে দিকে নেমেছে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডন, যার অবস্থান ২৭তম।
শীর্ষ দশের মধ্যে ইউরোপের মোট চারটি শহর রয়েছে। এগুলোর মধ্য জুরিখের অবস্থান ষষ্ঠ। প্যারিসের অবস্থান সপ্তম। রয়েছে কোপেনহেগেন ও জেনেভার নামও।
মূলত গ্যাসের দাম বেড়ে যাওয়ায় পশ্চিম ইউরোপের শহরগুলোতে ব্যয় বেড়েছে। যদিও দেশগুলো বিকল্প উৎসের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তবে অপ্রত্যাশিতভাবে রাশিয়ার মস্কো ও সেন্টপিটার্সবার্গেও জীবনযাত্রার ব্যয় অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। তবে এই বছর বিশ্লেষণ থেকে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
তবে প্রথম বারের মতো এ তালিকায় শীর্ষে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহর। সিঙ্গাপুরের সঙ্গে এটি যৌথভাবে প্রথম স্থানে রয়েছে। ২০২১ সালের তালিকায় নিউইয়র্কের অবস্থান ছিল ষষ্ঠ। যুক্তরাষ্ট্রের আরও দুইটি শহর শীর্ষ দশের মধ্যে রয়েছে। দেশটির লস এঞ্জেলেস হংকংয়ের সঙ্গে যৌথভাবে চতুর্থ স্থানে রয়েছে এবং সানফ্রানসিস্কো রয়েছে অষ্টম স্থানে।
বসাবাসের জন্য ২০২২ সালের শীর্ষ ব্যয়বহুল শহরগুলো হলো যথাক্রমে- নিউইউয়র্ক ও সিঙ্গাপুর, তেল আবিব, হংকং ও লস এঞ্জেলেস, জুরিখ, জেনেভা, সানফ্রানসিস্কো, প্যারিস, কোপেনহেগেন।
এমএসএম/জিকেএস