কাতারের সেরা ১০ দর্শনীয় স্থান
কাতারে শুরু হয়ে গেছে বৈশ্বিক ফুটবলের বৃহত্তম আসর ফিফা বিশ্বকাপের খেলা। এতে অংশ নিচ্ছে পৃথিবীর সেরা ৩২টি দেশের জাতীয় ফুটবল দল। তাদের খেলা দেখতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ১২ লাখ মানুষ উপসাগরীয় দেশটিতে যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এসব ফুটবলপ্রেমীর মনোরঞ্জনে অনুষ্ঠান-আতিথেয়তার কমতি রাখছে না কাতার। চাইলেই মোড়ে মোড়ে চলতে থাকা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারেন অতিথিরা। আবার সময় পেলে ঘুরে আসতে পারেন সাগরপাড়ের ছোট্ট দেশটির দর্শনীয় স্থানগুলো।
চলুন একনজরে দেখে নেওয়া যাক কাতারের সেরা ১০ দর্শনীয় স্থান কী কী-
১. সোক ওয়াকিফ
এটি কাতারের অন্যতম প্রাচীন বাজার। ফলে সোক ওয়াকিফের স্থাপনাগুলোর পরতে পরতে রয়েছে ঐতিহ্যের ছোঁয়া। বাজারটিতে বেশ কয়েকটি রেস্টুরেন্ট, ক্যাফে রয়েছে। পাওয়া যাবে নানা ধরনের স্যুভেনিরও। সোক ওয়াকিফ বাজারে পণ্যের দামও বেশ সাশ্রয়ী।
২. ইসলামী শিল্প জাদুঘর
এটি দোহার বিখ্যাত কর্নিশের একপ্রান্তে এবং সোক ওয়াকিফের খুব কাছেই অবস্থিত। এটি ঘুরে দেখতে গাইডের প্রয়োজন হবে না। জাদুঘরটিতে হাতে লেখা কোরআন শরীফের পৃষ্ঠা থেকে শুরু করে ইবনে সিনা ও মোহাম্মদ আল গজলীর স্মৃতিচিহ্নর মতো উল্লেখযোগ্য বহু ইসলামী নিদর্শন দেখতে পাওয়া যাবে। এখানে প্রবেশ করতে কাতারিদের টিকিট না লাগলেও বিদেশি নাগরিকদের জন্য টিকিট কাটতে হবে।
৩. কাতারের জাতীয় জাদুঘর
কাতারের অন্যতম সেরা দর্শনীয় স্থান এটি। এই জাদুঘরে প্রবেশ করতে প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে জনপ্রতি ১০০ কাতারি রিয়াল দরকার হবে। পুরো জাদুঘর ঘুরে দেখতে ঘণ্টা তিনেক সময় লাগতে পারে। তবে এই অর্থ ও কষ্ট বৃথা যাবে না। কাতারের ইতিহাস-ঐতিহ্যের পাশাপাশি বিশ্বের আরও গুরুত্বপূর্ণ নানা তথ্য জানতে পারবেন এখানে।
৪. কর্নিশে
দোহার অন্যতম সেরা আকর্ষণীয় স্থান কর্নিশে। এটি মূলত সাগরতীরে সাত কিলোমিটার লম্বা একটি রাস্তা। বিশ্বকাপ উপলক্ষে আপাতত এই পথ দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে পদচারীদের জন্য উন্মুক্ত। পুরো পথজুড়েই রয়েছে খাবার ও বিনোদনের অসংখ্য আয়োজন।
৫. মিউজিয়াম অব ইল্যুশন
নামই বলে দিচ্ছে কীসের দেখা পাবেন এখানে। অসাধারণ সব নকশায় চোখে ধাঁধা লাগিয়ে দেবে এই জাদুঘর। ছবি তোলার জন্য দারুণ জায়গা এটি। তবে বিভ্রমের কারণে অনেকের কাছেই পরিবেশটা কিছুটা অস্বস্তিকর লাগতে পারে।
৬. ভিলেজিও মল
দোহার পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত একটি শপিং মল এটি। এখানে বিশ্বের খ্যাতনামা অনেক ব্র্যান্ডের দোকান চোখে পড়বে। পাওয়া যাবে বাহারি সব পণ্য। তারচেয়ে আকর্ষণীয় মলটির সাজসজ্জা। এর ছাদটা দেখলে মনে হবে খোলা আকাশের নিচে রয়েছেন। মলের ভেতর নৌকায় চড়ার সুযোগও পাবেন দর্শনার্থীরা।
৭. দ্য পার্ল-কাতার
এটি মূলত একটি কৃত্রিম দ্বীপ। চার কিলোমিটারের এই দ্বীপে প্রায় ৩০ হাজারের মতো বাসিন্দা রয়েছেন। ভোর ও সন্ধ্যায় ঘোরাঘুরির জন্য চমৎকার জায়গা পার্ল। রয়েছে বেশ কিছু চমৎকার রেস্টুরেন্টও।
৮. কাতারা কালচারাল ভিলেজ
দোহার এই এলাকায় রয়েছে দৃষ্টিনন্দন অ্যাম্ফিথিয়েটার, জাদুঘর, কনভেনশন সেন্টারসহ বেশ কিছু দোকানপাট। আর সমুদ্রপাড়ে অবস্থিত হওয়ায় সৈকত তো থাকছেই।
৯. অ্যাস্পায়ার পার্ক
এটি দোহার দক্ষিণে অ্যাস্পায়ার জোনে অবস্থিত। ৮৮ হেক্টরজুড়ে পার্কটি কাতারের মধ্যে বৃহত্তম। পিকনিক ও পরিবার নিয়ে ঘোরাঘুরির জন্য দারুণ জায়গা এটি। রাতের বেলা এই পার্ক থেকে বিখ্যাত অ্যাস্পায়ার টাওয়ারের বর্ণিল আলোকসজ্জা দেখতে পাওয়া যায়।
১০. কাতার ন্যাশনাল লাইব্রেরি
এখানে রয়েছে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম বইয়ের সংগ্রহ। এ লাইব্রেরিতে আট লাখের বেশি বই, পাঁচ লাখের বেশি ই-বুক, সাময়িকী, সংবাদপত্র ও বেশ কিছু বিশেষ সংগ্রহ রয়েছে। চাইলে যে কেউ এর সদস্য হতে পারবেন।
সূত্র: ট্রিপ অ্যাডভাইজার, উইকিপিডিয়া
কেএএ/