সামনে সংকট আসছে, কিছু টাকা হাতে রাখুন: জেফ বেজোস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৪৭ পিএম, ২০ নভেম্বর ২০২২
জেফ বেজোস/ ছবি: সংগৃহীত

অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা ও বিশ্বের চতুর্থ ধনী জেফ বেজোস বিনা প্রয়োজনে অর্থব্যয় থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আসন্ন অর্থনৈতিক মন্দা সম্পর্কে সতর্ক করার পাশাপাশি মার্কিন নাগরিকদের অতিরিক্ত খরচ না করে, প্রয়োজনীয় টাকা হাতে রাখার পরামর্শ দেন তিনি।

সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এখন সাধারণ মানুষের উচিত হবে- হাতে পর্যাপ্ত টাকা রেখে দেওয়া। যুক্তরাষ্ট্রে মন্দার প্রাথমিক ধাক্কা লেগেছে। বড়দিন উপলক্ষে কেউ যদি নতুন গাড়ি, বড় পর্দার টিভি ও রেফ্রিজারেটর কিনতে চান, তাহলে আগে একবার ভেবে নিন।

‘কিছু ঝুঁকি কমিয়ে ফেলুন, হাতে কিছু নগদ অর্থ রাখুন। অর্থনৈতিক সমস্যা দেখা দিলে, ছোট ছোট সঞ্চয় অনেক বড় ব্যবধান গড়ে দেবে। তাই এখন থেকে আপনারা কিছুটা হিসাব-নিকাশ করে চলুন।’

বেজোস আরও বলেন, কারও যদি দামি কিছু কেনার ইচ্ছা থেকেও থাকে, কিছুদিন অপেক্ষা করুন। জিনিসটি আসলেই আপনার দরকার কি না কিংবা সেটি আপনার ব্যয় বাড়িয়ে দেবে কি না তা নিয়ে চিন্তা করুন। আমি বারবার বলবো, কিছু টাকা হাতে রেখে অপেক্ষা করুন, দেখুন কি হয়।

বেজোসের মতে, বর্তমানে আন্তর্জাতিক অর্থনীতি যেদিকে যাচ্ছে, তাতে কোনোকিছুই ঠিক বলে মনে হচ্ছে না। অর্থনীতির ক্রমবর্ধমান অবনতির উদাহরণ হিসেবে তিনি সাম্প্রতিক সময়ে টুইটার, ফেসবুকসহ বড় বড় কোম্পানিগুলো থেকে ব্যাপকহারে কর্মীছাঁটাইয়ের কথা উল্লেখ করেন।

এর আগে একই গণমাধ্যমের সংবাদমাধ্যমের আরেকটি সাক্ষাৎকারে বেজোস জানিয়েছিলেন, জীবদ্দশায় নিজের সম্পদের বেশির ভাগই দান করে দিতে চান তিনি। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও বৈষম্য কমাতে দান করবেন সম্পদ।

অ্যামাজন প্রতিষ্ঠাতার মোট সম্পদের পরিমাণ ১২ হাজার ৪০০ কোটি ডলার। বাংলাদেশি টাকায় যা প্রায় ১৩ লাখ কোটি।

করোনা মহামারির ধকল কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ায় টালমাটাল হয়ে পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতি। বিশ্বজুড়ে খাদ্যসংকট ও বাণিজ্য ঘাটতি দেখা দেওয়ায় বিপাকে পড়েছে বিভিন্ন দেশ।

সূত্র: এনডিটিভি

এসএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।