দেউলিয়া হওয়ার ঝুঁকিতে ৫৪ দেশ: জাতিসংঘ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:২৪ পিএম, ১৬ নভেম্বর ২০২২
আচিম স্টেইনার

বিশ্বের ৫০টির বেশি দরিদ্র উন্নয়নশীল দেশ ঋণখেলাপি হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। যদি ধনীদেশগুলো জরুরিভিত্তিতে সহযোগিতা না করে তাহলে এসব দেশ মূলত দেউলিয়া হওয়ার পথে। জাতিসংঘের জলবায়ুবিষয়ক কপ-২৭ সম্মেলনে ইউএন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (ইউএনডিপি) প্রধান আচিম স্টেইনার সতর্ক করে এ কথা জানিয়েছেন। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

আচিম স্টেইনার বলেছেন, চলমান উচ্চ মূল্যস্ফীতি, জ্বালানি সংকট ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর সুদের হার বাড়ানোর কারণে দরিদ্র দেশগুলো ঋণখেলাপি হওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে এসব দেশের জনগণ।

তিনি বলেন, অর্থনৈতিকভাবে ঝুঁকিতে থাকা ৫৪টি দেশের তালিকা আমাদের হাতে রয়েছে। যদি পরিস্থিতি আরও খারাপ হয় অর্থাৎ সুদের হার, জ্বালানি ও খাদ্যের দাম বাড়ে তাহলে বেশ কিছু দেশ ঋণ পরিশোধ করতে পারবে না।

জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা বলেন, এটি একটি বিপর্যয়কর পরিস্থিতি তৈরি করবে। শ্রীলঙ্কার দিকে তাকালেও বোঝা যায়। কারণ দেশটির এই অবস্থার পেছনে সব ধরনের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কারণ ক্রিয়াশীল ছিল।

তিনি বলেন, যদি এসব দেশ ঋণখেলাপিতে পরিণত হয় তাহলে জলবায়ুর পরিবর্তন মোকাবিলায় আরও সমস্যা তৈরি হবে। এটি নিশ্চিতভাবেই জলবায়ুর পদক্ষেপে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

তিনি সতর্ক করে বলেন, ঋণের বিষয়ে সহায়তার পদক্ষেপ নেওয়া না হলে এসব দরিদ্র দেশ জলবায়ু সংকট মোকাবিলা করতে পারবে না।

ইউএনডিপির প্রধান বলেন, ঋণের ইস্যুটি এখন অনেক উন্নয়নশীল অর্থনীতির জন্য বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই ঋণ সংকট মোকাবিলা জলবায়ু কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার জন্য পূর্বশর্ত হয়ে উঠেছে। জ্বালানি পরিবর্তন ও অভিযোজনে বিনিয়োগ করতে সক্ষম হওয়ার জন্য দেশগুলোতে নগদ অর্থসহায়তা দেওয়া প্রয়োজন বলেও জানান তিনি।

তিনি সতর্ক করে আরও বলেন, জলবায়ু সংকট সমস্যাকে আরও জটিল করে তুলছে। মূলত বৈরী আবহাওয়ার কারণে দেশগুলো সংগ্রাম করছে। তাছাড়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, গরিবদেশগুলো ধনী দেশ থেকে অর্থ পায় না। এখনো প্রতিনিয়ত নানা ধরনের দুর্যোগের মধ্য দিয়ে যেতে হয় তাদের।

এমএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।