কাতার বিশ্বকাপ
দোহা বন্দরে পৌঁছালো ২২তলার ‘ভাসমান হোটেল’
ফিফা বিশ্বকাপ-২০২২ দেখতে যাওয়া ফুটবলপ্রেমীদের রাতযাপনের জন্য বেশ কয়েকটি ভাসমান হোটেলের ব্যবস্থা করেছে কাতার। বস্তুত, একেকটি বিলাসবহুল প্রমোদতরীকে নতুন করে সাজিয়ে তৈরি হয়েছে এসব হোটেল। আগেই দোহা বন্দরে পৌঁছেছিল এমএসসি ওয়ার্ল্ড ইউরোপা নামে একটি বিশাল প্রমোদতরী। সোমবার (১৪ নভেম্বর) পৌঁছেছে দ্বিতীয়টি।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার দোহা বন্দরে নোঙ্গর করেছে এমএসসি ওয়ার্ল্ড ইউরোপা। সোমবার তার সঙ্গে যোগ দিয়েছে এমএসসি পোয়েসিয়া।
এমএসসি পোয়েসিয়ায় রয়েছে তিনটি সুইমিং পুল। ছবি সংগৃহীত
অত্যাধুনিক এই ক্রুজ শিপটি হবে চার তারকা মানের ভাসমান হোটেল। এতে রয়েছে কেবিনে বসে সমুদ্র দেখার সুযোগ। থাকছে সুসজ্জিত ব্যালকনি, বিলাসবহুল স্যুট, খাবারের জন্য একাধিক ডাইনিংসহ নানা ধরনের অনুষ্ঠান এবং সব বয়সের মানুষের জন্য বিনোদনের সুব্যবস্থা।
আরও পড়ুন>> ফুটবলের বাইরেও বিশাল আয়োজন কাতারে
১৬ তল বিশিষ্ট এমএসসি পোয়েসিয়ায় রয়েছে মোট ১ হাজার ২৬৫টি কেবিন, তিনটি সুইমিং পুল, একটি স্পা অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার, সিনেমা, পুলসাইড, টেনিস ও বাস্কেটবল কোর্ট, চারটি ডাইনিংয়ের পাশাপাশি ১৫টি কফিশপ এবং অনুষ্ঠানের স্থান।
এমএসসি ক্রুজ গ্রুপের সবচেয়ে বড় জাহাজ ওয়ার্ল্ড ইউরোপা। ছবি সংগৃহীত
তবে এর তুলনায় এমএসসি ওয়ার্ল্ড ইউরোপা আরও বড়। ২২তলা জাহাজটিতে কেবিনই রয়েছে ২ হাজার ৬২৬টি।
এবারের ফুটবল বিশ্বকাপ দেখতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ১২ লাখের বেশি মানুষ কাতার যাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এসব ভ্রমণকারীর রাতযাপনের জন্য ভাসমান হোটেলের পাশাপাশি অত্যাধুনিক সুবিধাযুক্ত অ্যাপার্টমেন্ট, হোটেল রুম, ভিলা, ফ্যান ভিলেজ, এমনকি মরুভূমিতে ক্যাম্পেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এমএসসি পোয়েসিয়ার ভেতরের দৃশ্য। ছবি সংগৃহীত
কাতার ট্যুরিজমের চেয়ারম্যান এবং কাতার এয়ারওয়েজ গ্রুপের প্রধান নির্বাহী এইচ ই আকবর আল বাকের রোববার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ভাসমান হোটেলে থাকার ব্যবস্থা এবং বিনোদনমূলক সেবাগুলো ‘ইতিহাসের সেরা বিশ্বকাপ’ আয়োজনের জন্য তাদের কঠোর প্রচেষ্টারই প্রতিফলন।
আরও পড়ুন>> কাতার বিশ্বকাপের উদ্বোধনীতে গাইবেন বিটিএসের জাংকুক
বিশ্বকাপ উপলক্ষে পাঠানো তিনটি ক্রুজ শিপের মালিক এমএসসি গ্রুপ জানিয়েছে, তাদের প্রতিটি জাহাজের ধারণক্ষমতা অন্তত ১০ হাজার বেড এবং বিশ্বকাপের প্রথম সপ্তাহের জন্য এগুলোর রিজার্ভেশন শতভাগ পূরণ হয়ে গেছে।
এমএসসি পোয়েসিয়ার ভেতরের দৃশ্য। ছবি সংগৃহীত
কাতার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ফুটবলপ্রেমীদের অনেকেই কাতারে থাকার জায়গা না পেলে সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান বা ইরানের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোকে বিকল্প হিসেবে বেছে নেবেন। সেক্ষেত্রে তারা ফুটবল ম্যাচ দেখেই যেন ফিরে যেতে পারেন, সেজন্য ‘শাটল’ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সূত্র: দ্য পেনিনসুলা, আল-জাজিরা
কেএএ/