দক্ষিণ কোরিয়ায় হ্যালোইন উৎসবে নিহত বেড়ে ১৫১, রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৩৩ এএম, ৩০ অক্টোবর ২০২২

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে হ্যালোইন উৎসবে পদদলিত হয়ে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫১ জনে। এ ঘটনায় আরও দেড় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল রোববার (৩০ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় শোক পালনের ঘোষণা দিয়েছেন।

আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল গভীরভাবে মর্মাহত। তিনি ভুক্তভোগীদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। বিশেষ করে টিনএজার এবং যারা ২০ বছরের নিচের বয়সী তাদের জন্য গভীর দুঃখপ্রকাশ করেছেন। তারা যেন দ্রুত সুস্থ হয় সেই কামনাও করেন তিনি।

প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল এক বিবৃতিতে আরও বলেছেন, ‘এটি সত্যিই দুঃখজনক’। ‘গতরাতে সিউলের কেন্দ্রস্থলে একটি ট্র্যাজেডি এবং বিপর্যয় ঘটে যা হওয়া উচিত ছিল না’।

স্থানীয় সময় শনিবার (২৯ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানী সিউলের ইথেওন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হ্যালোইন উৎসব উদযাপনকারীদের কাছে রাজধানী সিউলের ইথেওন এলাকা খুবই আকর্ষণীয় জায়গা। শনিবার রাতে ওই এলাকায় লাখের বেশি মানুষ সমবেত হয়েছিলেন। ২০২০ সালে করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর দক্ষিণ কোরিয়ায় হ্যালোইন উৎসব বন্ধ ছিল। এরপর এবারই প্রথম এই উৎসব হয়, যেখানে মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা ছিল না। ‘মৃত আত্মাদের স্মরণে’ প্রতিবছর অক্টোবরের শেষে হ্যালোইন উৎসব হয়।

জরুরি বিভাগের কর্মকর্তারা বলেছেন, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

ইয়ংসান ফায়ার স্টেশনের প্রধান চোই সুং-বিওম বলেছেন, ১৯ জন বিদেশিসহ ১৫১ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। তিনি ঘটনাস্থলে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ৮২ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ১৯ জনের অবস্থা গুরুতর।

তিনি আরও বলেন, ‘হ্যালোইন উৎসবের সময় অনেক লোক মাটিতে পড়েছিলেন, এবং বহু সংখ্যক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। নিহতদের অনেকেই একটি নাইটক্লাবের কাছে ছিলেন বলেও জানান তিনি।

তিনি জানান, নিহতদের মধ্যে অনেকেই নারী। যাদের বয়স ২০ বছরের কম। নিহতদের মধ্যে চীন, ইরান উজবেকিস্তান এবং নরওয়ের নাগরিকও রয়েছেন।

সূত্র: রয়টার্স

এসএনআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।