নেতা নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টির নতুন নিয়ম
যুক্তরাজ্যের সদ্য পদত্যাগ করা প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের ক্ষমতা বিপর্যয়ের পর নড়েচড়ে বসেছে ব্রিটিশ কনজারভেটিভ (টোরি) পার্টি। রাজনৈতিক ব্যর্থতার পেছনের কারণগুলো খুঁজে বের করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন দলটির নীতি-নির্ধারকরা। মূলত নেতৃত্বের তীব্র লড়াই দলটির কোনো নেতাকেই ক্ষমতায় স্থায়ী হতে দিচ্ছে না বলে ধারণা করছেন অনেকেই।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস পদত্যাগ করার পর পর টোরি নেতারা ভবিষ্যৎ কর্মপন্থার ব্যাপারে ভাবাদর্শিক অবস্থান থেকে সরে এসে আরও বেশি প্রায়োগিক হয়ে উঠেছেন। ট্রাসের পদত্যাগের ফলে সৃষ্ট দলীয় বিশৃঙ্খলার জন্য অকপটে লজ্জ্বাও প্রকাশ করেছেন দলটির কয়েকজন এমপি ।
এদিকে, এবার কনজারভেটিভ পার্টির নেতারা অল্প সময়ের মধ্যে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করতে কার্যকরী নিয়ম প্রণয়ন করেছেন। এ নিয়মে প্রাথমিকভাবে মূল হেভিওয়েট তিন প্রার্থীকে মনোনীত করা হবে।
নতুন নিয়মে নেতৃত্ব বাছাইয়ের এ নির্বাচনে অংশ নিতে গেলে কোনো প্রার্থীকে কমপক্ষে নিজদলীয় ১০০ এমপির সমর্থন লাগবে। প্রাথমিক এ প্রক্রিয়ায় মনোনীতদের মধ্য থেকে সোমবার (২৪ অক্টোবর) শীর্ষ দুই প্রার্থীকে বেছে নেওয়া হবে।
এরপর এমপিদের ভোটের মাধ্যমে দলের শীর্ষ নেতা নির্বাচিত হবেন। যদি দুজন প্রার্থীই সমান ভোট পান বা এ প্রক্রিয়ায় নেতা নির্বাচন করা সম্ভব না হয়, তাহলে তৃণমূল নেতারা যাকে সমর্থন করবেন আগামী শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) তাকে নেতা হিসেবে ঘোষণা করা হবে।
লিজ ট্রাস ব্রিটিশ ইতিহাসের সবচেয়ে কম সময়ের প্রধানমন্ত্রী। তার সময়ে সদ্য সাবেক অর্থমন্ত্রী কোয়াসি কোয়ার্টেং বিশাল ট্যাক্স ছাড় দিয়ে মিনি-বাজেট ঘোষণা করেন।
ওই বাজেট ঘোষণার ফলে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে ব্যাপক অস্থিরতার সৃষ্টি হয়। এতে দলটির নেতাদের মধ্যেই অন্তর্দ্বন্দ্ব দেখা দেয়, যার ফলশ্রুতিতে ক্ষমতায় আসার মাত্র ৪৫ দিনেই পদত্যাগ করতে বাধ্য হন লিজ ট্রাস। গত ৬ সেপ্টেম্বর ঋষি সুনাককে হারিয়ে প্রধানমন্ত্রী হন তিনি।
দেশটির রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, লিজ ট্রাসের পদত্যাগের পর দলটির শীর্ষ নেতারা নড়েচড়ে বসলেও, কনজারভেটিভ পার্টিতে যে দলাদলি শুরু হয়েছে তাতে সর্বজন সমর্থিত নেতা আসবেন কি না তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।
সূত্র: ব্লুমবার্গ
এসএএইচ/এসএনআর/এমএস