রাশিয়ায় বিক্ষোভ অব্যাহত, আটক ৭২৪
ইউক্রেন আগ্রাসনের জেরে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সামরিক সংহতি ঘোষণার পর বিক্ষোভ শুরু হয় রাশিয়ায়। দেশজুড়ে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। বিক্ষোভের জেরে শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) আরও ৭২৪ জনকে আটকের খবর পাওয়া গেছে।
মানবাধিকার সংগঠন ওভিডি বলছে, ৩২ জেলা থেকে ৭২৪ জনের মতো মানুষকে আটক করা হয়েছে শনিবার। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে যুদ্ধের জন্য ৩ লাখ সেনা পাঠাতে পুরুষদের অংশ নেওয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করার পর থেকে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
বিক্ষোভ সমাবেশ আইনত নিষিদ্ধ দেশটিতে। প্রেসিডেন্ট পুতিনের সামরিক বাহিনীতে বেসামরিক লোকদের নিয়োগের পদক্ষেপের ফলে শহরাঞ্চলে ব্যাপক বিক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। এর আগে এই সপ্তাহের শুরুতে বিক্ষোভ চলাকালে এক হাজারের বেশি মানুষকে আটক করার অভিযোগ উঠেছে।
মস্কোতে, বার্তা সংস্থা এএফপি এক বিক্ষোভকারীকে ‘আমরা কামানের পশু নই’ বলে চিৎকার করতে দেখে। ওই ব্যক্তিকে কর্মকর্তারা আটক করেছে। রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর সেন্ট পিটার্সবার্গে এক ব্যক্তি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমি পুতিনের পক্ষে যুদ্ধে যেতে চাই না’।
খসড়া তৈরির পর দায়িত্ব পালনে অবহেলার জন্য কঠোর নতুন শাস্তির অনুমোদন দিয়েছে মস্কো। প্রেসিডেন্ট পুতিন শনিবার নতুন ডিক্রিতে স্বাক্ষর করেছেন যেখানে বলা হয়েছে, যে কোনো সেনা আত্মসমর্পণ করলে, সামরিক বাহিনী ত্যাগ করার চেষ্টা করলে বা যুদ্ধ করতে অস্বীকার করলে তার ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
দেশটির সামরিক বাহিনীতে এক বছর চাকরি করার জন্য স্বাক্ষর করা যে কোনো বিদেশি নাগরিককে রাশিয়ার নাগরিকত্ব দেওয়ার আদেশেও স্বাক্ষর করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন।
এদিকে, রুশ অনেক তরুণ দেশ থেকে পালানোর সুযোগ খুঁজছে। জর্জিয়ার সীমান্তে, রাশিয়ার গাড়ির সারি ৩০ কিমি (১৮ মাইল) এরও বেশি লম্বা হয়েছে। যদিও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় লোকদের ভ্রমণ না করার আহ্বান জানিয়েছে।
স্থানীয় রাশিয়ান কর্মকর্তারা স্বীকার করেন যে প্রায় ২৫ হাজার গাড়ি একটি চেকপয়েন্টে অপেক্ষা করছে।
অপরদিকে, ফিনল্যান্ডেও প্রবেশ করতে আগ্রহী রাশিয়ানদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশটির বর্ডার গার্ডের মুখপাত্র ম্যাটি পিটকানিটি জানান, গত সপ্তাহ থেকে রাশিয়ানদের আগমনের সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি।
সূত্র: বিবিসি
এসএনআর