রেডিও টুডে : দশ বছরে দশ কোটি শ্রোতা


প্রকাশিত: ১০:৪২ এএম, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

একটা সময় ছিল যখন বাংলাদেশে ইলেকট্রনিক মিডিয়া বলতে শুধু রেডিওকেই বোঝানো হতো। যা বিনোদন ও খবর শোনার জন্য শুধু তখনকার সৌখিন ও সচেতন মানুষরাই রাখতেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে শুরু করে সবকটি আন্দোলন ও দেশ বিদেশের সব সংবাদ ও বিনোদনের জন্য রেডিও ছিল, সাধারণ মানুষের একমাত্র মাধ্যম। কিন্তু সময়ের বিবর্তন, আধুনিকতার প্রভাব, টেলিভিশন ও অন্যান্য বিনোদন মাধ্যমের আগমনে পিছিয়ে পড়ে রেডিও। এমনই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করে দেশের প্রথম বেসরকারী রেডিও স্টেশন রেডিও টুডে ৮৯.৬ এফএম।

তরুণদের মধ্যে আলোড়ন তোলে এই এফএম রেডিও। একঝাঁক তরুণ ও দক্ষ কর্মীর অক্লান্ত পরিশ্রম আর সৃষ্টিশীলতায় দেশে রেডিও শুধু ঘুরেই দাঁড়ায়নি, এনেছে মানুষের চিন্তা ও বিনোদন জগতে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন। বিনোদন আর দেশ বিদেশের সর্বশেষ সংবাদের সমন্বয়ে এমন একটি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠা করার পিছনের সাহসী গল্প বিবিসির এক সাক্ষাৎকারে বলছিলেন, রেডিও টুডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল হক।

তারুণ্যের জয়গান, দেশপ্রেম, দায়িত্বশীলতা ও আধুনিকতার সংমিশ্রনে মানুষের কাছে অত্যাবশ্যকীয় হয়ে ওঠে রেডিও টুডে। যার শুরুটা হয়েছিল ২০০৬ সালের ১৫ অক্টোবর।

পথচলার ৯ বছরে অনেক কিছুই বদলে দিয়েছে রেডিও টুডে। বদলেছে সে নিজেও, দশ বছরে পদার্পণে সারাদেশে দশটি স্টেশনে আকৃষ্ট করেছে প্রায় দশ কোটি শ্রোতাকে। ঢাকা স্টেশন দিয়ে শুরু হলেও সময়ের পরিক্রমায় একে একে চট্রগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট, বগুড়া, খুলনা, বরিশাল ও ময়মনসিংহ এবং সবশেষ কুমিল্লা ও কুষ্টিয়ায় শুরু হয় রেডিও টুডের সম্প্রচার কার্যক্রম। অনলাইনেও রেডিও টুডে শুনছেন বিশ্বজুড়ে অসংখ্য শ্রোতা।   

সময়ের সাথে পরিবর্তন এসেছে এর অনুষ্ঠানমালা এবং সংবাদ উপস্থাপনায়ও। দেশ বিদেশের গান, নারী ও শিশু অধিকার, মানবাধিকার ও সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতায় রেডিও টুডে স্থান করে নিয়েছে শ্রোতাদের মনের মণিকোঠায়। আস্থা অর্জন করেছে সব বয়সী ও সব শ্রেনী পেশার মানুষের।

বর্তমান সময়টাকে বলা হয় বিশ্বায়ন আর খোলা আকাশের যুগ। তাই সেই সুযোগে জনসাধারনকে সুস্থ্য বিনোদন আর তথ্য জানাবার দাবী নিয়ে একের পর এক আসছে এফএম রেডিও। তবে এত সব এফএমের ভীড়েও রেডিও টুডে তার স্বকীয়তায় এগিয়ে যাবে বহুদূর এমনটাই প্রত্যাশা সবার।

এইচএন/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।