রাব্বী আহমেদের তিনটি কবিতা
আয়না
তোমার সমকক্ষ কোন আয়না নেই,
নিজের প্রতিবিম্বের কাছে
আমি অনেকবার পরাজিত আলোকরশ্নি।
মসৃন গাল থেকে যেসব অভিসারি রশ্মি এসে মিলিত হলো এক বন্দরে,
আমি সেইসব হাটে কবিতা বিক্রি করতাম বিগত জন্মে।
আমাকে ধারণ করছো বলে
দেখো, তোমার খোলা পিঠকে মনে হয়
সমতল দর্পন।
আমি সেই দর্পনে যে কবিতা লিখেছিলাম,
মেট্রোট্রেনের মতো তোমার
সিঁথির রাস্তা ধরে তা চললো অনন্তের দিকে।
এখন আমি নিজেকে আয়না ভাবি,
দেখি হৃদয়ের সমতল পৃষ্ঠে
একখানি মলিন মুখ।
প্রত্নতাত্ত্বিক কোন নিদর্শনের মতো,
যে প্রাচীন সভ্যতার কাছে আমাদের ঋণ রয়ে গেলো,
এসো এই রাতে বেখেয়ালি ওড়নায় উড়িয়ে দেই
তার সালতামামি।
বিপ্রতীপ
আমাদের ঈশ্বর ভিন্ন, আমরা ভিন্ন নই।
দু’জন একই অজ্ঞাত উপাস্যের
উপাসনা শেষে মুখোমুখি দাঁড়াই।
সম্মিলিত সংগম শেষে ঘুমিয়ে পড়ি
একই বিছানায়।
আমরা দু’জন আলাদা বালিশে ঘুমাই,
অথচ দু’জনের স্বপ্নের কি আশ্চর্য মিল!
প্রাক্তনদের ফিরিয়ে এনো না
প্রাক্তনদের ফিরিয়ে এনো না, যারা ফিরতে চাইছে,
মূলত তারা জেনেই গেছে তোমার চেয়ে বাধ্য কেউ কোথাও নেই।
বরং নতুন কারো হাত ধরে মুভি শো দ্যাখো,
প্রয়োজনে চুমুও খেতে পারো,
অমন দু চারটা চুমুর দাগ লিপস্টিকের সাথে ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যায়।
মানুষের জৈবিক জন্ম হয় একবার,
অথচ মানসিকভাবে সে বহুবার জন্মাতে পারে,
প্রতিটি প্রেম, প্রতিটি জন্ম।
একই গর্ভে বারবার জন্মাতে নেই,
প্রাক্তনদের ফিরিয়ে এনো না,
ফিরে গেলে আর ফিরিয়ে আনতে নেই।
এইচএন/এমএস