ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ মারা গেছেন
ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ আর নেই। যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি এই রানি ৯৬ বছর বয়সে মারা গেলেন।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার পর রানির মৃত্যুর ঘোষণা দেয় বাকিংহাম প্যালেস।
অথচ কয়েক মাস আগেই তার সিংহাসনে আরোহনের ৭০ বছর উদযাপন করেছিল ব্রিটেন। তিনি হলেন দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে সিংহাসন অলংকৃত করে রাখা কোনো রানি।
এদিকে তার মৃত্যুর খবরে বিশ্বজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা শোক প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোক প্রকাশ করেছেন।
রানির মৃত্যুর অফিসিয়াল নোটিশ টাঙানো হচ্ছে/ছবি: রয়টার্স
সবশেষ গত বুধবার এক ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন রানি এলিজাবেথ। সেখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর তাকে বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। এরপরই তার স্বাস্থ্য নিয়ে ছড়িয়ে পড়ে উদ্বেগ।
বেশ কিছুদিন থেকেই তিনি স্কটল্যান্ডের বালমোরাল প্রাসাদে ছিলেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে গত কয়েক মাস ধরে জনসম্মুখে আসা কমিয়ে দিয়েছিলেন রানি। বালমোরাল প্রাসাদেই তাকে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছিল। সেখানেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ।
শোক প্রকাশ করে উইন্ডসর ক্যাসেলের বাইরে ফুল দিচ্ছে মানুষ
এর মাধ্যমে ব্রিটেনের রাজ পরিবারে দীর্ঘ এক শাসনের সমাপ্তি ঘটলো। দীর্ঘ এই বর্ণিল জীবনে ব্রিটেনের সমাজ ও রাজনীতিতে অভাবনীয় পরিবর্তনের সাক্ষী এলিজাবেথ।
এদিকে রানি এলিজাবেথের মৃত্যুতে দেশটির নতুন রাজা হচ্ছেন তার ছেলে ও সাবেক প্রিন্স অব ওয়েলস চার্লস। তিনি এখন রাজা তৃতীয় চার্লস নামে পরিচিত হবেন।
১৯৫২ সালে ব্রিটিশ সিংহাসনে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অভিষেক ঘটে। দীর্ঘ এই শাসনামলে এলিজাবেথের সবচেয়ে কাছের মানুষ, তার প্রিয় সঙ্গী ছিলেন প্রিন্স ফিলিপ। ‘ডিউক অব এডিনবারা’ খেতাবধারী প্রিন্স ফিলিপ ২০২১ সালের ৯ এপ্রিল ৯৯ বছর বয়সে মারা যান। তার মৃত্যুতে একা হয়ে পড়েন রানি।
রানির চার সন্তান রয়েছে। তারা হলেন প্রিন্স চার্লস, প্রিন্সেস অ্যানে, প্রিন্স অ্যান্ড্রু ও প্রিন্স এডওয়ার্ড। এছাড়া তার নাতিরা হলেন প্রিন্স উইলিয়াম এবং প্রিন্স হ্যারি।
জেডএইচ/টিটিএন