জিকা আতঙ্ক : ব্রাজিলে কার্নিভালে চুম্বনে সতর্কতা
ব্রাজিলে দুজন রোগীর মূত্র এবং লালায় জিকা ভাইরাস শনাক্ত করেছে দেশটির বিজ্ঞানীরা। রিও ডি জেনিরোর একটি শীর্ষ বায়োমেডিকেল গবেষণা প্রতিষ্ঠান শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে। একই সঙ্গে আগামী সপ্তাহ থেকে শুরু হতে যাওয়া স্থানীয় কার্নিভালে দেশটির গর্ভবতী নারীরা যাতে অপরিচিত লোকজনকে চুম্বন করা থেকে বিরত থাকে সেজন্য সতর্ক থাকার নির্দেশও দিয়েছে।
বিজ্ঞানীদের নতুন এ তথ্য বিশ্বজুড়ে বাড়তে থাকা জিকা ভাইরাস আতঙ্কে বাড়তি উদ্বেগ যোগ করেছে। আমেরিকায় এ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ব্যাপক মাত্রায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া ব্রাজিলে জিকায় আক্রান্ত হয়ে হাজার হাজার শিশু বিকলাঙ্গ অবস্থায় জন্ম নিচ্ছে।
ব্রাজিলের ওসওয়ালদো ক্রুজ ফাউন্ডেশন বলছে, জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত দুজন রোগীর মূত্র ও লালা পরীক্ষা করা হয়েছে। সেখানে তারা এ ভাইরাসকে সক্রিয় অবস্থায় পেয়েছেন। এর অর্থ হচ্ছে মূত্র ও লালার মাধ্যমে এ ভাইরাসে সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে এ দুটি ভাইরাস অন্যের শরীরে কোনো তরল পদার্থের মাধ্যমে প্রবেশ করছে কিনা সেবিষয়ে আরো গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন। মশাবাহিত এই ব্যাধি প্রথমবারের মতো লালা এবং মূত্রে শনাক্ত করলেন বিজ্ঞানীরা। তবে চলতি সপ্তাহে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলেন, শারীরিক মিলন ও রক্ত আদান-প্রদানের মাধ্যমে এ ভাইরাস শরীরে প্রবেশের সম্ভাবনা রয়েছে।
আগামী সপ্তাহে ব্রাজিলে বিশ্বের বৃহত্তম বেকানালিয়া উৎসব শুরু হবে। পাঁচদিন ব্যাপি এই উৎসবে দেশটির রাস্তায় রাস্তায় নাচ ও মদ্যপানের আসর চলে। একই সঙ্গে চুম্বনেও জড়িয়ে পড়ে তরুণ-তরুণীরা। এদের মধ্যে অনেকেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা আগন্তুকদের চুম্বন করে। ওই উৎসবে গর্ভবতী নারীদের পূর্ব সতর্কতা এবং জনসমাগম এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছে ওসওয়ালদো ক্রুজ ফাউন্ডেশন।
ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড. পাওলো গাধেলা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, আক্রান্ত কারো সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লে ওই ব্যক্তিও জিকায় আক্রান্ত হতে পারেন। এজন্য অবশ্যই চুম্বন করা থেকে বিরত থাকুন। একজনের শরীর থেকে অন্যজনের শরীরে স্থানান্তর হতে পারে না সেটির সম্ভাবনা নেই।
এসআইএস/আরআইপি