সাইফউদ্দিনের পর রানার আঘাত
সাইফউদ্দিনের পর নেপাল শিবিরে আঘাত হেনেছেন মেহেদী হাসান রানা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নেপালের সংগ্রহ ৯ ওভার শেষে ২ উইকেটে ৩০ রান।
এর আগে শুক্রবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে টস জিতে ব্যাট করতে নামে নেপাল। তবে দলীয় ১৭ রানে সন্দ্বীপকে (৭) বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান টাইগার বোলার সাইফউদ্দিন। এরপর যুগেন্দ্র সিংকে (১) সাইফের তালুবন্দি করে সাজঘরে ফেরান রানা।
এদিকে প্রথমবারের মতো যুবাদের সবচেয়ে বড় আসর অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের ওঠার হাতছানি। মুশফিক, সাকিব, তামিম, নাফিস, আশরাফুলদের মত তারকা ক্রিকেটাররা যা পারেননি তাই করে দেখানোর সুযোগ মিরাজদের সামনে।
বর্তমান দলটি নিয়ে দারুণ আশাবাদী অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। জয়ের আশাবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ এর আগে কখনো সেমিফাইনাল খেলেনি, যদি নেপালের সঙ্গে জিততে পারি, সেটি অনেক বড় অর্জন হবে। আগের চেয়ে মনোযোগ আরও বেশি থাকবে। এখানে কাউকে ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। যেহেতু দেশের প্রতিনিধিত্ব করছি, সবাই প্রত্যাশা করছে সে অনুযায়ী খেলতে হবে।
অপরদিকে প্রতিপক্ষ নেপালের চোখও রয়েছে সেমিফাইনালে। গ্রুপ পর্বে আয়ারল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দাপট দেখিয়েই জিতেছে তারা। অধিনায়ক রাজু রিজাল, সন্দীপ সুনার, আরিফ শেখ, কার্কি সিংরা নিজদের ব্যাটিং দক্ষতা দেখিয়েছে টুর্নামেন্টের শুরু থেকে। ম্যাচের প্রথম থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করতে পারেন তারা। আর বোলিংয়ে দারুণ ছন্দে রয়েছেন লেগস্পিনার সন্দীপ লামিছানি। এছাড়াও অফস্পিনার প্রেম থামাংয়ের সঙ্গে পেয়ার দিপেন্দ্র সিং আইরিও কার্যকরী হয়ে উঠতে পারেন।
বাংলাদেশ দল:
পিনাক ঘোষ, সাইফ হাসান, জয়রাজ শেখ ইমন, নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদী হাসান মিরাজ, জাকির হাসান, সাইফউদ্দিন, মেহেদি হাসান রানা, আরিফুল ইসলাম ও সালেহ আহমেদ শাওণ গাজী।
এমআর/পিআর