টেকসই উন্নয়ন ও গণমাধ্যম বিকাশে এগিয়ে আসবে জাতিসংঘ
টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, সম্প্রচার কমিশন পরিচালনা, ভূমিকম্পসহ দুর্যোগ প্রস্তুতি ও গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশিক্ষণের বিষয়ে সহায়ক ভূমিকা পালনের আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক রবার্ট ডি ওয়াটকিন্স। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতকালে তিনি এ আশা প্রকাশ করেন।
এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকরা বাংলাদেশের গণমাধ্যম সম্পর্কে তার মন্তব্য চাইলে জাতিসংঘের এ প্রতিনিধি বলেন, “বাংলাদেশের গণমাধ্যম অত্যন্ত জীবন্ত ও গতিশীল। এবং এর প্রসারে প্রয়োজন নিয়মতান্ত্রিক কাঠামো।”
জাতিসংঘ ও এর অঙ্গ সংগঠনগুলোকে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে বর্ণনা করে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, নারী-পুরুষ ও সামাজিক বৈষম্য দূর করা, দারিদ্র্য বিমোচন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় তারা আমাদের সঙ্গে রয়েছে। গণমাধ্যম ক্ষেত্রে জাতিসংঘের সহায়তার আগ্রহেরও প্রশংসা করেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, প্রসারমান সম্প্রচার জগতের স্বার্থে বেসরকারি বিশেষজ্ঞগণ যে সম্প্রচার আইনের খসড়া প্রণয়নের কাজ করছেন, আগামী জুন মাসে তা সংসদে উত্থাপনের চেষ্টা চলছে।
সাম্প্রতিক কয়েকটি ভূমিকম্পের দিকে দৃষ্টিপাত করে মন্ত্রী বলেন, প্রেস ইন্সটিটিউট এবং তথ্য অধিদফতর ভূমিকম্পের সময়ে করণীয় সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করার কাজ অব্যাহত রেখেছে।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে একটি ‘মিডিয়া কনভেনশন’ আয়োজনের পরিকল্পনা তথ্য মন্ত্রণালয়ের রয়েছে উল্লেখ করে হাসানুল হক ইনু বলেন, গণতন্ত্র, জঙ্গিবাদ বিরুদ্ধতা ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের আরো সচেতন করে তুলবে এ কনভেনশন।
এসএ/আরএস/পিআর