১৩ মিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা পাচ্ছে প্রাণ
দেশের শীর্ষস্থানীয় কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাত ও রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান ‘প্রাণ গ্রুপ’-কে ১৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তা দিচ্ছে আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান প্রোপারকো এবং এফএমও। গতকাল বুধবার রাজধানীর রেডিসন হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহসান খান চৌধুরী, এফএমও’র কৃষি বিভাগের প্রধান কর্মকর্তা মার্জোলিন ল্যান্ধি, প্রোপারকো এশীয় অঞ্চলের প্রধান সেবাস্টিয়ান ফ্লিউরি নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
চুক্তি অনুযায়ী প্রোপারকো ও এফএমও যৌথভাবে ৮ ও ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ সরবরাহ করবে প্রাণ এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান ময়মনসিংহ অ্যাগ্রো লিমিটেডকে।
আহসান খান চৌধুরী জানান, পণ্যের গুণাগুণ বজায় রাখতে উন্নতমানের প্যাকেজিং ও প্রযুক্তির বিকল্প নেই। এ ঋণ সহায়তা কাজে লাগিয়ে প্যাকেজিং শিল্পে আধুনিকায়ন এবং জুস ও বেভারেজ শিল্পে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি স্থাপন করবে প্রাণ। প্রাণকে স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক পরিসরে আরো প্রতিযোগী হতে এ সহায়তা ভূমিকা রাখবে।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরো জানান, “আমাদের লক্ষ্য হলো বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্বল্পমূল্যে মানসম্পন্ন প্রক্রিয়াজাত ও প্যাকেটজাত খাদ্য সরবরাহ করা। এ লক্ষ্যে প্রাণ বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। প্রোপারকো ও এফএমও’র সহযোগিতা এবং আমাদের প্রচেষ্টায় সামগ্রিকভাবে দেশের কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে।”
প্রতিষ্ঠান দু’টির কর্মকর্তারা জানান, “প্রাণ গ্রুপের মতো একটি সুবিদিত প্রতিষ্ঠানকে সম্প্রসারণ কার্যক্রমে সহযোগিতা করতে পেরে আমরা গর্বিত।”
ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ডস ভিত্তিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান প্রোপারকো ও এফএমও বিশ্বের উদীয়মান উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বেসরকারি বিনিয়োগে অনুঘটক হিসেবে উদ্যোক্তাদের এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছে। প্রাণকে অর্থায়নের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান দু’টি বাংলাদেশে অর্থনৈতিক ও গ্রামীণ উন্নয়নে ভূমিকা রাখল। চুক্তি অনুযায়ী আগামী সাত বছরে এ অর্থ পরিশোধ করবে প্রাণ।
অনুষ্ঠানে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (কর্পোরেট ফাইন্যান্স) উজমা চৌধুরী ও এফএমও’র বিনিয়োগ কর্মকর্তা ডন অ্যারেন্ডসসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৯৮৫ সালে খাদ্য পণ্য প্রক্রিয়াজাত করণের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে প্রাণ। বর্তমানে ১০টি ক্যাটাগরিতে ৫০০টির অধিক পণ্য উৎপাদন করছে প্রাণ। নিয়মিতভাবে বিশ্বের ১২৩টি দেশে রফতানি হচ্ছে প্রাণের এসব পণ্য। গত বছরে ৫০০ মিলিয়ন অর্থ উপার্জন করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাত ও রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান।
আরএস/পিআর