স্বল্প মূলধনী কোম্পানির নতুন বাজার হচ্ছে
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে চায় এমন স্বল্প মূলধনী কোম্পানির জন্য উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে ‘স্মল ক্যাপিটাল প্লাটফর্ম’ নামে আলাদা বাজার গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। মঙ্গলবার বিএসইসির ৫৬৫তম সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে চায় এমন স্বল্প মূলধনী কোম্পানির জন্য ‘স্মল ক্যাপ বোর্ড’ প্রতিষ্ঠার জন্য গঠিত কমিটির রিপোর্টের উপর বিস্তারিত আলোচনা করে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে স্বল্প মূলধনী কোম্পানিসমূহ তালিকাভুক্ত এবং লেনদেনের জন্য উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে ‘স্মল ক্যাপিটাল প্লাটফর্ম’ নামে আলাদা প্লাটফর্ম গঠন করা।
এই বাজারে তালিকাভুক্তির জন্য কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন কমপক্ষে ৫ কোটি টাকা এবং তালিকাভুক্তির পর পরিশোধিত মূলধন কমপক্ষে ১০ কোটি টাকা থাকতে হবে। একই সঙ্গে সর্বোচ্চ পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকার নিচে থাকতে হবে।
স্বল্প মূলধনী কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্তির জন্য কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফারের (কিউআইও) মাধ্যমে পুঁজি উত্তোলন করতে হবে। আর স্বল্প মূলধনী কোম্পানির এই বাজারে তালিকাভুক্ত হতে পারবে। এই বাজারে শুধু কোয়ালিফাইড ইনভেস্টররা লেনদেন করতে পারবেন। কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর বলতে বিনিয়োগ-সংক্রান্ত সম্যক ধারণা রয়েছে এমন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও উচ্চ নিট সম্পদধারী ব্যক্তিকে বোঝায়। কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর চিহ্নিত করতে সিডিবিএল ভিন্ন ধরনের বিও হিসাব প্রণয়ন করবে। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য এই বাজার উন্মুক্ত থাকবে না। বিদ্যমান স্টক ব্রোকারদের মাধ্যমে বাজারে লেনদেন পরিচালিত হবে।
এই বাজারে ডাইরেক্ট লিস্টিংয়ের মাধ্যমে কোনো কোম্পানি তালিকাভুক্ত হতে পারবে না এবং শেয়ারধারীদের শেয়ার একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত লক-ইন থাকবে। বাজারে লেনদেনের তারল্য বজায় রাখার জন্য ইস্যুয়ার কোম্পানিকে কমপক্ষে ৩ বছরের জন্য মার্কেট মেকার নিয়োগ করতে হবে।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বাজারের কোম্পানিগুলোর শেয়ার ডিমেটারিয়ালাইজ ফরমে হবে অর্থাৎ শেয়ার কাগুজে হতে পারবে না। শেয়ার লেনদেন হবে ইলেকট্রনিক ট্রেডিং প্লাটফর্মে এবং লেনদেন নিষ্পত্তির সময় হবে স্টক এক্সচেঞ্জের মূল বাজারের মতো।
স্বল্প মূলধনী কোম্পানি তালিকাভুক্তির জন্য ন্যূনতম ফি ও অন্যান্য খরচ ধার্য করা হবে। তবে কমপ্লায়েন্সের বাধ্যবাধকতা বর্তমান প্রচলিত আইপিওর চেয়ে হ্রাস করা হবে। এক্সচেঞ্জগুলো কোম্পানি ও বিনিয়োগকারীদের সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করবে।
এসআই/একে/আরআইপি