মানি লন্ডারিং আইনের বৈধতা নিয়ে খন্দকার মোশাররফের রিট
মানি লন্ড্রারিং আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। গতকাল রোববার বিকালে করা আবেদনে খন্দকার মোশাররফের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা অর্থ পাঁচার মামলার কার্যক্রম স্থগিতের আর্জি জানানো হয়েছে। সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি মাহমুদুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এই আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানা গেছে।
২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী থাকাকালে খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে ৯ কোটি ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮১ টাকা পাঁচারের অভিযোগে ২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি মানি লন্ড্রারিং আইনে নগরীর রমনা থানায় মামলা করে দুদক।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। এ পর্যায়ে মানি লন্ড্রারিং আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন বিএনপি নেতা।
রিটকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম বলেন, মামলার এজাহারে ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ঘটনার সময়কাল উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু ২০০২ সালের ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে কোন মাণি লন্ড্রারিং আইন ছিল না। ওই বছরের ৩০ এপ্রিল মানি লন্ড্রারিং আইন কার্যকর হয়েছে।
যদি আমরা ২০০১ সাল থেকে ২০০২ সালেল ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত অর্থ পাঁচারের অভিযোগ আছে মর্মে ধরে নেই তাহলে সংবিধানের ৩১ অনুচ্ছেদ অনুসারে ওই আইনে ড. খন্দকার মোশাররফের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ও বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করাও বেআইনি। সেহেতু মামলার বিচার কার্যক্রম স্থগিতের আবেদন জানানো হয়েছে।
এফএইচ/আরএস/এমএস