নাইজেরিয়ায় বোকো হারামের হামলায় নিহত ৮৬


প্রকাশিত: ০৪:১১ এএম, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

নাইজেরিয়ার বর্নো প্রদেশের রাজধানী মাইদুগুড়ি থেকে ৫ কিলোমিটার দূরের একটি গ্রামে ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠী বোকো হারামের হামলায় কমপক্ষে ৮৬ জন নিহত হয়েছে। শনিবার রাতে এ হামলা চালায় বোকো হারাম।

হামলায় বেঁচে যাওয়া প্রত্যক্ষদর্শী ও সেনা কর্মকর্তারা জানান, মাইদুগুড়ির দালোরি গ্রামে বোকো হারাম জঙ্গিরা কুঁড়ে ঘরগুলোতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। একই সঙ্গে গ্রামের বাসিন্দাদের লক্ষ্য করে বোমা ও গুলি নিক্ষেপ করেছে। দালোরি গ্রামের পাশেই দুটি শরণার্থী শিবিরেও হামলা চালায় বোকো হারাম। এতে ৮৬ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া রাস্তায় গুলিবিদ্ধ অনেককেই পড়ে থাকতে দেখা গেছে।

বোকো হারামের চারণক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের এই গ্রামে শনিবার রাতে গোলাগুলি, অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণ কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে। হামলায় বেঁচে যাওয়া আলামিন নামের এক ব্যক্তি টেলিফোনে বার্তা সংস্থা এপিকে বলেন, অনিরাপদ ওই এলাকায় তিন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী  প্রায় চার ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চালায়। এতে তার পরিবারের বেশ কয়েকজন নিহত ও আহত হয়েছে বলে জানান।

স্থানীয় এক সেনা কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তিন নারী আত্মঘাতী হামলাকারী পাশের গামোরি গ্রামে প্রবেশ করে সেখানে অনেক লোককে হত্যা করে। পরে তারা আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিজেদের উড়িয়ে দিয়েছে।

তবে বোকো হারামের হামলার পর সেখানে সেনাবাহিনী অভিযান চালালেও জঙ্গিদের ভারী অস্ত্রের কাছে দাড়াতে পারেনি। সেনা কর্মকর্তারা বলছেন, জঙ্গিদের কাছে সেনাবাহিনীর চেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র থাকার কারণে অভিযানে পিছু হটতে হয়েছে। তবে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী দেরিতে পৌঁছেছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। একই সঙ্গে তারা বোকো হারামের আরো হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

গত বছরের শেষের দিকে নাইজেরিয়ার প্রধান ওই শহরটি থেকে বোকো হারাম জঙ্গিগোষ্ঠীকে হটিয়ে দেয় দেশটির সেনাবাহিনী। এরপর থেকে বিভিন্ন স্থাপনা ও জনসমাগম লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে আসছে বোকো হারাম। চরমপন্থী এই জঙ্গিগোষ্ঠীর হামলায় গত ছয় বছরে অন্তত ২০ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। এছাড়া গৃহহীন হয়ে পড়েছে আরো অন্তত ২৫ লাখ মানুষ।

এসআইএস/এআরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।